ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মোশারফের ক্ষেতে চাষ হচ্ছে রঙিন ফুলকপি

আব্দুর রহমান,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
মোশারফের ক্ষেতে চাষ হচ্ছে রঙিন ফুলকপি রঙিন ফুলকপি। ছবি: বাংলানিউজ

নেত্রকোনা: নেত্রকোনার বারহাট্টায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাহারি রঙের ফুলকপি।

ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ব্যাপক সারা ফেলেছে উপজেলাটি।

 খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষণীয় হওয়ায় প্রতিদিনই ভিড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি।

কৃষি বিভাগ বলছে, এটি উচ্চ প্রোটিন ও ওষুধিগুণে ভরা সবজি। ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা থাকায় আবাদও ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।

বারহাট্টা উপজেলার মনাষ গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সবজি আবাদ করে যাচ্ছেন। এবছর তিনি ৪০ শতক জমিতে নানা জাতের সবজির আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২০ শতক জমিতে চাষ করেছেন রঙিন ফুলকপি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ফুলকপি বীজ সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তার ক্ষেতজুড়ে হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুলকপির শোভা পাচ্ছে। । বীজ ও চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। প্রতিটি ফুলকপি মাঠেই বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

তিনি আশা করছেন, এই রঙিন ফুলকপিগুলো ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন।  

রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ তার বাগানে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি। বাহারি রং ও এর বাজারমূল্য ভালো থাকায় তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।  

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান বলেন, গেল বছর এটি ছোট আকারে আবাদ করা হলেও এবছর বিভিন্ন কৃষক দ্বারা ১৫০ শতক জমিতে বাহারি রঙের ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে। এটি পুষ্টিকর ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি । বিশেষ করে এটিতে এন্টি ক্যানসারের উপাদান রয়েছে। তাছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা থাকায় এর আবাদ সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।