ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

এভিয়াট্যুর

বিমানের ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজের ক্ষত মারাত্মক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫
বিমানের ভাড়ায় আনা উড়োজাহাজের ক্ষত মারাত্মক

ঢাকা: মিশর থেকে ভাড়ায় আনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজের ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে ইঞ্জিনের ব্লেড।

উড়োজাহাজটি সচল করতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। এর ফলে এ সময়ে বিমানের ফ্লাইট শিডিউল রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। শাহ আমানত থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছু পরই এর একটি ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ অবস্থায় বৈমানিক ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দিয়ে বাকি ইঞ্জিনটি দিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করান।

বিমান প্রায় এক বছর আগে মিশর এয়ারের (ইজিপ্ট এয়ার) দু’টি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর ভাড়া নেয়। পাঁচ বছরের জন্য এ দু’টি উড়োজাহাজ ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই একটি যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়লো।

বিষয়টি নিয়ে বিমানের প্রকৌশল শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিমান সূত্রে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি পাল্টে ফেলতে হবে। মিশর এয়ার থেকে ভাড়ায় আনার কারণে এ দায়িত্ব অবশ্য বিমানের নয়। বিমান কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ইঞ্জিন বদলাতে মিশর এয়ারের কাছে চিঠি দিয়েছে।  

উড্ডয়ন অবস্থায় বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের একটি ইঞ্জিনে বিকট শব্দ হতে থাকে। ইঞ্জিনের এ অস্বাভাবিক আচরণ দেখে বিমানের বাংলাদেশি বৈমানিক দ্রুতই ইঞ্জিনটি বন্ধ করে দেন। এরপর বাকি ইঞ্জিনটি দিয়েই বৈমানিক উড়োজাহাজটি শাহজালালে জরুরি অবতরণ করান।    

বিমান সূত্রে জানা গেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের ব্লেড ভেঙে যায়। ব্লেড মেরামত করে ইঞ্জিনটি সচল করা সময়সাপেক্ষ। এটি উড্ডয়নক্ষম করতে ইঞ্জিনটি ওভারহোলিং (বড় ধরনের মেরামত) করাতে হবে। যেহেতু উড়োজাহাজটি ভাড়ায় আনা, তাই এর সব দায়-দায়িত্ব মিশর এয়ারের।

নিয়ম অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি পাল্টে ফেলে নতুন আরেকটি ইঞ্জিন দেবে মিশর। কিন্তু ঢাকায় ইঞ্জিন ওভারহোলিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি বিদেশে পাঠাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি নিয়ে যাওয়া ও নতুন ইঞ্জিন আনা একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এসব প্রক্রিয়া সারতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে।      

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।