ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ কবিতার বই 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ভালোবাসা দিবসে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ কবিতার বই  বইমেলায় নতুন প্রকাশিত বই দেখানো হচ্ছে এই শিশুকে-ছবি- ডি এইচ বাদল

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার চতুর্দশ দিনে ভালোবাসায় সিক্ত সবাই। আগতের চোখে-মুখে তৃপ্তির রেখা। প্রকাশক পাঠকের এ আনন্দের দিনে লেখক, কবিরাও বেশ উচ্ছ্বসিত। আর সেজন্যই বোধহয় ভালোবাসা দিবসকেই অনেকে নতুন বই প্রকাশের জন্য বেছে নিয়েছেন।

ভালোবাসার সঙ্গে কবিতা বা কবিতার বই একেবারে অবিচ্ছেদ্য হয়ে রয়েছে সৃজনশীলতার সেই আদিকাল থেকেই। এদিন যেন আবারো যথার্থ হলো সবচেয়ে বেশি কবিতার বই প্রকাশ হওয়ায়।

বাংলা একাডেমির সচিবালয় জানিয়েছে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সবচেয়ে বেশি বই প্রকাশ হয়েছে কবিতার। মোট ৭৩টি বই এসেছে কবিতার। এসবে কবিরা গেয়েছেন প্রেম, দ্রোহ কিংবা বিচ্ছেদের গান।

মেলার চৌদ্দতম দিনে মোট ১৯২টি বই প্রকাশ হয়েছে। এগুলোর মধ্যে গল্প ২২টি, উপন্যাস ২৭টি, প্রবন্ধ ৬টি, কবিতা ৭৩টি, গবেষণা ৮টি, ছড়া ২টি, শিশুতোষ ৬টি, জীবনী ৮টি, মুক্তিযুদ্ধ ২টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ৮টি, ইতিহাস ৪টি, রাজনীতি ১টি, চিকিৎসা ৩টি, রম্য, ধর্মীয়, গোয়েন্দা ১টি করে ও অন্যান্য ১৮টি।

এ নিয়ে মেলায় সর্বমোট বই প্রকাশ হলো ১ হাজার ৯৩২টি।

বুধবার বিকেল ৩টায় মেলা শুরু হলে ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশুর সংস্কৃতি বিকাশ নিয়ে আলোচনা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মোহিত কামাল। আলোচনায় অংশ নেন সুব্রত বড়ুয়া, দিলারা হাফিজ এবং হাসান শাহরিয়ার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পী হাশেম খান।

আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশেও একসময় শিশু সংগঠনগুলো শিশুর জীবনগঠন প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করেছে। বর্তমান নগরায়নের প্রভাবে খোলামেলা পরিবেশে শিশুর বড় হয়ে ওঠার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। আজ শিশুর বিনোদন কম্পিউটার গেমস, মোবাইল ও ইন্টারনেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ। প্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের জীবনযাত্রা সহজ করলেও এর অপব্যবহার ও ব্যবহার-অজ্ঞতা শিশুর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমাদের সমাজের তথা দেশে মঙ্গলের জন্যই শিশু-সংগঠনগুলোকে আবারও ব্যাপকভাবে সক্রিয় করা প্রয়োজন।  
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পী হাশেম খান বলেন, শিশু সংগঠনের নিষ্ক্রিয়তার পেছনে শিশুর অভিভাবকদের নিষ্ক্রিয়তাও বহুলাংশে দায়ী। সেই সঙ্গে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা শিশুর উপর যে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সেটাও শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্থ করছে। শিশুর স্বাভাবিক বিকাশের জন্য শিশু সংগঠনগুলোকে যেমন সক্রিয় করা প্রয়োজন, তেমনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলাকেও ভূমিকা নিতে হবে।

সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী খুরশিদ আলম, মুর্শিদুদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ৪টায় মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।