ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

মেলার শেষভাগে তালিকা ধরে বই সংগ্রহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
মেলার শেষভাগে তালিকা ধরে বই সংগ্রহ বই মেলায় শেষ সময়ের কেনাকাটা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ফেব্রুয়ারির একেবারে শেষভাগ চলছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলাও তাই শেষের পথে। আর শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) হচ্ছে চলতি মাসের শেষ ছুটির দিন। তাই শেষ সময়ে এসে তালিকা ধরে মেলা চষে বই নেওয়ার দিন এখন।

সরেজমিন গ্রন্থমেলার বাংলা একাডেমি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ ছুটির দিনে ব্যাপক ভিড়। এতোদিন ধরে যাদের বেশিরভাগই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা পত্রিকায় পাতায় বিজ্ঞাপন দেখে পছন্দসই বইয়ের তালিকা করেছেন।

আর সেই তালিকা ধরে ধরেই ভরে নিচ্ছেন হাতের থলে।
 
কেবল নিজের জন্যই নয়, বাড়ির সবার পছন্দের তালিকা নিয়েও অনেককে ঘুরতে দেখা গেছে। কেউ এসেছেন পুরো পরিবার নিয়ে। কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে। অনেকেই আবার প্রেয়সীর হাত ধরেই চষে বেড়াচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণ।
 
তালিকা যেহেতু হাতে, তাই বাছাই করা বই নেবেন এটা স্বাভাবিক। গল্প, উন্যাস, ছড়া, ভূতের কাহিনী, গোয়েন্দা কাহিনীর থেকে শুরু গুরুগম্ভীর দর্শন শাস্ত্রের বইও দেখা গেছে অনেকের তালিকায়।
 
পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড়ে প্রকাশনী সংস্থাগুলোরও সময় কাটাচ্ছে বেশ ব্যস্ততায়। যেন ফুসরত ফেলার সময় নেই। এক পাঠকের সঙ্গে কথা বলার সময়ে অন্যজন এসে তাগাদা দিচ্ছেন পছন্দের বইটি দেওয়ার জন্য। এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্যইবা আর কি হতে পারে! মেলার শেষ দিকে এসে ব্যাপক খুশিখুশি ভাব লক্ষ্য করা গেছে প্রকাশনী সংস্থা, পাঠক সবার মুখেই।
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা এসেছেন স্ত্রী নূপুর রানী ও ছেলে নিশাদকে সঙ্গে নিয়ে। নূপুর তার পছন্দের দু’টো বই নিয়েছেন। রানা নিয়েছেন তার তালিকা ধরেই। রয়েছে ছেলে নিশাদের বইও।
 
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এতোদিন পর্যবেক্ষণ করে বেশকিছু বইয়ের লিস্ট করা ছিল। সেটা ধরেই বই কেনা। শেষের দিকে মূলত সব বইই চলে আসে। তাই শেষ ছুটির দিনই এসেছি।
 
রিফাত চৌধুরী নামের একটি বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মেলায় এসেছে বন্ধুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, কিছু অনুবাদ আর উপন্যাস নিতে এসেছি। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাটাও হয়ে গেল।
 
প্রকাশনী সংস্থা তাম্রলিপির প্রকাশক একেএম তারিকুল ইসলাম রনি বলেন, শেষের দিক বলে পাঠকদের সংখ্যা বেড়েছে। তারা বই সংগ্রহ করছেনও বেশ। তবে আগে থেকে ঠিক করা বইগুলোই নিচ্ছেন তারা।
 
বাংলা একাডেমির সচিবালয় থেকে জানা গেছে, ধীরে ধীরে বই প্রকাশও কমে আসছে। শনিবার মোট ১৮২টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকাশিত হয়েছে কবিতার বই, ৫৪টি। গল্পের বই ৩৬টি, উপন্যাস ১৮টি, প্রবন্ধ ১৩টি ও গবেষণার বই বেরিয়েছে ১১টি। অবশিষ্ট ক্যাটাগরিগুলোর কোনটিতে ১০ এর কোটা ছাড়ায়নি প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।