ঢাকা, শনিবার, ২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ঝড়-বৃষ্টির আগাম প্রস্তুতিতে রক্ষা বইমেলার

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
ঝড়-বৃষ্টির আগাম প্রস্তুতিতে রক্ষা বইমেলার রাতের ঝড়-বৃষ্টির পর সকালে বইমেলা প্রাঙ্গণের চিত্র/ ছবি: ডিএইচ বাদল

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: আগাম প্রস্তুতি থাকার কারণে প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতেও বড় ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলো অমর একুশে গ্রন্থমেলা। কয়েকটি স্টলের ত্রিপল উড়ে যাওয়া আর কিছু বই ভিজে যাওয়া ছাড়া তেমন উদ্বেগজনক কিছু ঘটেনি বইমেলায়।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে। পরে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলগুলোর ত্রিপল উড়ে যাওয়া এবং স্টলের সামনে সাজানো বইগুলো ভিজে যাওয়া ছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

অধিকাংশ স্টল দিনশেষে পলিথিন দিয়ে যেভাবে ঢেকে রেখে গিয়েছিল পসরা, সে অবস্থায়ই দেখা গেছে সকালে। তাছাড়া প্রথম থেকেই প্রতিটি স্টলে টিনের ছাউনি দেওয়ায় ঝড়ো হাওয়া ‘মাথায় হাত’ দেওয়ার কারণ হতে পারেনি।

বরাবরের মতো বিকেল ৩টায় মেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মীরা সকালে স্ব স্ব স্টল ঘুরে দেখেন। তখন বইমেলায় খুলতে দেখা যায় ৩-৪টি স্টল। হাতেগোনা এ স্টলগুলোর মধ্যে ছিলো অন্যপ্রকাশ, জার্নিম্যান বুকস, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও সময় প্রকাশন।  

মাঠে ত্রিপল বিছিয়ে তার ওপর ভেজা বইগুলো শুকোতে দিয়েছেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বিক্রয় কর্মকর্তা আসিফ রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ো বৃষ্টিতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সব মিলিয়ে আমাদের স্টলের প্রায় ৫০টির মতো বই ভিজে গেছে শুধু। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকোতে দিয়েছেন একটি প্রকাশনীর স্টলের এক কর্মী।  ছবি: ডি এইচ বাদল/ বাংলানিউজ

বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া বই রোদে শুকোতে দিয়েছেন একটি প্রকাশনীর স্টলের এক কর্মী। ছবি: ডি এইচ বাদল/ বাংলানিউজ

অন্যপ্রকাশের কর্মীরা জানান, তাদের স্টলেরও হাতেগোনা কয়েকটি বই ভিজেছে। প্রতিরাতেই সাবধানতার জন্য বইগুলো পলিথিন ও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখে যাওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত ঝড়ের কারণে কিছু ধুলো জমেছে স্টলে।

যে কয়েকটি স্টল সকালে খুলেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বই ভিজেছে সময় প্রকাশনের। মেলা প্রাঙ্গণের মাঝখানে হওয়ার কারণে দু’দিকের ঝাপটা থেকেই এটা হয়েছে বলে ধারণা করছেন বিক্রয়কর্মীরা। সামনে শো করে রাখা বইগুলোসহ প্যাভিলিয়নের ভেতরেও অনেকগুলো বই ভেজা অবস্থায় দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এক্ষুণি বলা যাচ্ছে না ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে অনেকগুলো বই বেশ ভিজে গেছে।

মেলার সিসিমপুর, লিটলম্যাগ চত্বরসহ অন্যান্য অংশেও তেমন ক্ষয়ক্ষতি চোখে পড়েনি।

এ প্রসঙ্গে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল বাংলানিউজকে জানান, এবার প্রথম থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্টলেই দেওয়া হয়েছে টিনের ছাউনি। এর ফলে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

নিয়ম অনুযায়ী মেলা বিকেল ৩টা থেকেই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।