ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
বইমেলায় থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বক্তব্য রাখছেন ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: অমর একুশে বইমেলাকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারও নিশ্ছিদ্র-সুদৃঢ় ও সমন্বিত নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের ( ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমী ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল থেকে মাসব্যপী অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে।

প্রতিবারের মতো এবারও নিশ্ছিদ্র ও সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সবার সমন্বয়ে তা করা হবে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্য দিয়ে মেলায় আগত দর্শনার্থী, লেখক ও প্রকাশকদের নিররপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত প্রতিটা ইঞ্চি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং মেলায় স্থাপিত কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।

বাংলা একাডেমীতে ২টি প্রবেশপথ ও একটি বেরুনোরপথ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩টি প্রবেশপথ ও ৩টি বেরুনোরপথ থাকবে। প্রতিটি প্রবেশপথেই আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করে সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এছাড়া, হাতেও তল্লাশি করা হবে, এজন্য প্রবেশপথে একটু বিলম্ব হলেও সবাইকে ধৈর্য সহকারে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জনান তিনি।

ইভটিজিংসহ যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ থাকবে। মেলার বাইরের দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে পুলিশের একটি আউটার কর্ডন থাকবে যেন কোনো অপ্রত্যাশিত ব্যক্তি এসে নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।

টিএসসি দিয়ে যারা প্রবেশ করবেন তারা মূল চত্বরে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে যারা প্রবেশ করবেন তারা রাস্তার দুই পাশে এবং ঢাবির জিমনেসিয়ামে গাড়ি পার্ক করবেন। টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধসহ পুরো এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান ও হকার থাকবেনা। ছিনতাই-পকেটমার রোধে পুলিশের ফুট পেট্রোল ও মোবাইল পেট্রোল টিম কাজ করবে। ডে কোন তথ্য সংগ্রহে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত গোয়েন্দা পুলিশ তৎপর থাকবে।

তিনি আরো বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো এলাকায় নজরদারি থাকবে।

কন্ট্রোলরুমে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে, কেউ সহায়তা চাইলে তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রস্তুত রয়েছেন। ব্লগার-লেখকরা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে সহায়তা চাইলে তাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক যেকোনো বই বিপনন নিষিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব নজরদারিতে বাংলা একাডেমীর সার্ভিলেন্স টিম ও পুলিশের গোয়েন্দারা থাকবে। কোন স্টলে এমন বই পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ঢাবি এলাকার এন্ট্রি পয়েন্টগুলোতে বাড়তি ট্রাফিক মোতায়েন থাকবে।

কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার কোনো হুমকি নেই জানিয়ে কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দ্রুততম সময়ে জঙ্গির নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি। নতুনকরে সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালাতে তাদের শক্তি নেই, তবে বিচ্ছিন্ন ধরনের কোনো ঘটনা এড়াতে আমাদের গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
পিএম/এএটি

***বইমেলায় গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল-স্ট্রাইকিং ফোর্স

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।