ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

খুনসুটি আর আবদারের শিশুপ্রহর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৯
খুনসুটি আর আবদারের শিশুপ্রহর শিশুপ্রহর-ছবি-শাকিল আহমেদ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: অক্ষর চেনে না, বই বোঝে না-এমন শিশুদেরও বইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে তাদের বইমেলায় নিয়ে আসতে ভুল করেননি অনেক অভিভাবক।

শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সেই সচেতন অভিভাবকদের সঙ্গেই শিশুদের হাসি, উল্লাস, খুনসুটি, মান-অভিমান, বড়দের সঙ্গে আঁড়ি, ঝগড়া, কান্না, লাফালাফি আর আবদারের মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ৮ম দিন। একইসঙ্গে মেলার ২য় শিশুপ্রহর।

ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই গ্রন্থমেলার গেটে অসংখ্য শিশু অপেক্ষা করছিলো বাবা-মায়ের হাত ধরে। গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকদের হাতে হাত রেখে মেলাতে আসতে শুরু করে তারা। বেলা ১২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ পূর্ণ হয়ে যায় শিশুদের পদচারণায়। এসময় প্রায় প্রত্যেক অভিভাবকের সঙ্গে দেখা মেলে একজন-দু’জন শিশুর।

অমর একুশে গ্রন্থমেলা কর্তৃপক্ষ সপ্তাহের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শুধু শিশুদের জন্য মেলার সময় বরাদ্দ করেছে। আর এ সুযোগটা পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছেন অভিভাবকরা।

শিশুপ্রহরে বাবা-মায়ের হাত ধরে বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে বই দেখছে শিশুরা। এক একটি স্টলে ঢুকে রঙ-বেরঙের বই নেড়েচেড়ে দেখছে তারা। কিনে নিচ্ছে পছন্দের বইটি। হাজারও বইয়ের সঙ্গে নিজের সন্তানকে পরিচয় করিয়ে দিতে এসময় সঙ্গে ছিলেন মা-বাবারাও।

মেলায় আসা এক মা বলেন, বাচ্চার পড়াশুনার সেরকম বয়স হয়নি এখনও। বিভিন্ন ধরনের ফল-ফুল-পশু-পাখির ছবি দেখে দেখে যেন বলতে পারে, এজন্য সেসব বই খুঁজছি।

সরকারি কর্মকর্তা আনিস আহমেদ জানান, ছোট বয়স থেকেই বই পড়ার ভিত্তিটা মজবুত করলে বইয়ের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় অনাবিল আনন্দ। তাই ছোটবেলা থেকেই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সন্তানদের নিয়ে মেলায় আসা।

শুধু বই নয়, শিশুদের কাছে সকালে মেলার মূল আকর্ষণ শিশু চত্বরে সিসিমপুরের পরিবেশনা। তবে সে পরিবেশনার আগে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন।

শিশুপ্রহরে মেলায় এসেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার। সিসিমপুরের মঞ্চে তিনি কথা বলেন, খেলা করেন শিশুদের সঙ্গে।

আর্ল রবার্ট মিলার এসময় বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) সহযোগিতায় সিসিমপুর চলছে। এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান যা নিউইয়র্কের কিছু কার্টুন চরিত্রের আদলে সৃষ্টি। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ শিশুদের কাছে এটি পৌঁছাচ্ছে।  

তিনি বলেন, এটি শুধু টিভি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাও। এর মাধ্যমে শিশুরা ভাষা, নৈতিকতা এবং মনন সম্পর্কে জানতে পারে। আমরা আমাদের সময়ে থাকা কার্টুন চরিত্রের সঙ্গে বড় হয়েছি, আর এখন আমাদের শিশুরা বড় হচ্ছে হালুম-ইকরি-টুকটুকির সঙ্গে।

আর্ল রবার্ট মিলারের কথা শেষে মঞ্চে আসে শিশুদের প্রিয় চরিত্র হালুম, ইকরি, শিকু ও টুকটুকি। এরপর শিশুরা তাদের সঙ্গে আনন্দযজ্ঞে মেতে ওঠে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।