ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

'বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায়'

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
'বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায়'

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: 'বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায়' বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিচিত্র রচনার একটি সংকলন। সম্পাদকের ভাষায় ‘দুই পর্বে সাতটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত একটি সুপরিকল্পিত সংকলন’।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় শামসুজ্জামান খান সম্পাদিত 'বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায়' শীর্ষক গ্রন্থের আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহমাদ মাযহার।

আলোচনায় অংশ নেন সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, এনামুল করিম নির্ঝর এবং আমীরুল ইসলাম। বক্তব্য প্রদান করেন গ্রন্থের সম্পাদক শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করেন মাহফুজা খানম।

প্রাবন্ধিক বলেন, গ্রন্থটির বেশিরভাগ রচনার রীতি অনুসরণ করলে ক্রমশ টের পাওয়া যায় যে কিশোর পাঠকদের উদ্দেশ্য করেই বইটি রচিত। প্রথম পর্বে রয়েছে ‘জীবনকথা ও মূল্যায়ন’। বইটির দ্বিতীয় পর্বের প্রথম অধ্যায়ে সংকলিত হয়েছে ছড়া-কবিতা ও গান। পরের অধ্যায়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গল্প। গল্পগুলোর কোনো কোনোটায় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ একাকার হয়ে গেছে।

আলোচকবৃন্দ বলেন, গ্রন্থটি অত্যন্ত সুশোভিত, সুগ্রন্থিত এবং সুসম্পাদিত। গ্রন্থটির অবয়ব ও সংকলিত লেখাগুলো থেকে একে কিশোর পাঠকদের জন্য রচিত মনে হওয়াই স্বাভাবিক। গ্রন্থের প্রতিটি লেখাই তাৎপর্যপূর্ণ কেননা দেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও গবেষকগণ তাদের লেখায় বঙ্গবন্ধুকে নানা মাত্রায় এখানে উপস্থাপন করেছেন। স্কুল, কলেজ, গ্রন্থাগার এবং সরকারি- বেসরকারি শিশু সংগঠনগুলোর মাধ্যমে গ্রন্থটি শিশু-কিশোর তথা পাঠকদের হাতে পৌঁছে দিতে পারলে বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাদের জানার পরিধি বৃদ্ধি পাবে।

গ্রন্থের সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে বঙ্গবন্ধু নানা বর্ণে নানা রেখায় বইয়ে।

সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট সংগঠক, খেলাঘরের চেয়ারপারসন, ঢাকসু'র সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, কেবল কিশোর পাঠক নয়, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক স্মৃতিচারণ, ছড়া, কবিতা, গল্প ও জীবনপঞ্জি সংবলিত এ গ্রন্থটি সকল বয়সের পাঠকদের কাছে সমাদৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশের সময় আমাদের বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে তাকে আমরা যথার্থ উচ্চতায় উপস্থাপন করছি কিনা। এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণটিকে সার্বজনীনভাবে উদ্যাপনের জন্য আমাদের নানামুখী উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।

আলোচনা শেষে মূলমঞ্চে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি রবীন্দ্র গোপ, বদরুল হায়দার, তপন বাগচী এবং খালেদ উদ্-দীন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী সামিউল ইসলাম পোলক এবং সংগীতা চৌধুরী। পুথিপাঠ করেন জালাল খান ইউসুফী। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল মিলন কান্তি দে’র রচনা ও নির্দেশনায় এবং দেশ অপেরা’র পরিচালনায় যাত্রাপালা ‘রক্তে রাঙানো বর্ণমালা’।

বিকেলে লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন রফিকুর রশীদ, সালমা বাণী, মতিন্দ্র মানখিন এবং কবি নওশাদ জামিল।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০
এইচএমএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।