ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ভাষা-সংস্কৃতি-ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ফরহাদ খান ও রশীদ হায়দার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
ভাষা-সংস্কৃতি-ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ লেখক ফরহাদ খান ও রশীদ হায়দার

ঢাকা: উদার ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনাই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রেরণা। কিন্তু পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চাকে নানাভাবে দমিয়ে রাখা হয়।

অসাম্প্রদায়িক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের আদর্শ থেকে সরে আসতে থাকে শাসকগোষ্ঠী। এ সময় আবারও কলমযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় আমাদের লেখকদের। এ পর্যায়ে দু’জন গুরুত্বপূর্ণ লেখক হলেন রশীদ হায়দার ও ফরহাদ খান।

বুধবার (২ মার্চ) বিকেল ৪টায় অমর একুশে বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্মরণ: রশীদ হায়দার ও ফরহাদ খান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসব কথা বলেন লেখক মোজাফ্ফর হোসেন।

তিনি বলেন, রশীদ হায়দারের যুদ্ধটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-চর্চা ও এর চেতনা প্রতিষ্ঠার। অন্যদিকে ফরহাদ খান কাজ করেছিলেন বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির শুদ্ধতা নিশ্চিত করে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য।

বিকেলের এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইমতিয়ার শামীম এবং মনি হায়দার। সভাপতিত্ব করেন আনোয়ারা সৈয়দ হক।

আলোচকবৃন্দ বলেন, শিল্প, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের নানা জটিল বিষয়কে সহজ ও সাবলীল ভাষায় পাঠকের সামনে হাজির করেছেন লেখক রশীদ হায়দার ও ফরহাদ খান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-শাণিত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাদের লেখনীর মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। তাদের কর্মের ভেতর দিয়েই তারা আমাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, সৃজনশীল ও মননশীল লেখক রশীদ হায়দার ও ফরহাদ খানের সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম আমাদের সাহিত্য ও জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষা ও দেশের প্রতি তাদের গভীর অনুরাগ নতুন প্রজন্মের ভেতর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সুদৃঢ় করবে।

বুধবার নতুন বই এসেছে ১১৪টি। এদিন লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের বই নিয়ে আলোচনা করেন ইসহাক খান ও মাসুম রেজা। আজকের অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মাসুদ পথিক এবং গিয়াসউদ্দীন চাষা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী নাঈমা রুম্মান, পলি পারভীন এবং মিসবাহিল মোকাররাবিন। সাংস্কৃতিক পর্বে ছিল শাহাবুদ্দিন আহমেদ দোলনের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুর সুধা সংগীতায়ন’-এর শিল্পীদের পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন চন্দনা মজুমদার, শফি মণ্ডল, আবদুল লতিফ শাহ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, কৌশিক মজুমদার, সুমন চন্দ্র দাস, শেখ মিলন এবং শ্যামল কুমার পাল।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।