ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ

ঢাকা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করতে প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেট প্রস্তাবের সময় তিনি এ কথা বলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলা অধিবেশন মন্ত্রী বলেন, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। সেটি ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি।

করমুক্ত আয় সীমার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যক্তির আয়ের প্রথম ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। পরবর্তী এক লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ৫ শতাংশ, এর পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ এবং এর চেয়ে বেশি আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে।

অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এর আওতায় প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তি করদাতা সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করতেও তিনি প্রস্তাব জানান। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এমন প্রত্যেক সন্তানের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি করমুক্ত আয় সীমা রাখার প্রস্তাব করেন তিনি।

প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় যদি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়, তাকে আয়কর দিতে হবে। গত অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ছিল ৩ লাখ টাকা। এবার ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব ছিল ৪ লাখ টাকা করার।  

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।