ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

উপেক্ষিত পোশাক শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার

বাজেট রিপোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
উপেক্ষিত পোশাক শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার

ঢাকা: সদ্য ঘোষিত ২০১৪-১৫ সালের বাজেটে পোশাক শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার আবাসন, রেশনিং ও চিকিৎসা সেবা উপেক্ষিত হয়েছে বলে মনে করছেন পোশাক শ্রমিকেরা।

পোশাক শ্রমিকদের এই তিনটি মৌলিক অধিকার বাবদ বাজেটে সরাসরি কোনো বরাদ্দ না থাকায়ও বেশ ক্ষুব্ধ শ্রমিক সমাজ বলে জানান বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবর রহমান ইসমাইল।



এ বিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজেটে পোশাক শ্রমিকরা যা আশা করেছিলেন, তা বাস্তবায়ন হয়নি। তেলে মাথায় তেল দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মালিকদের চাহিদা মাথায় রেখেই বাজেট ঘোষণা হয়েছে। মালিকরা যেসব দাবি জানিয়েছেন, তার প্রতিটি ধরতে গেলে বাস্তবায়ন হলেও শ্রমিকরা রয়েছেন উপেক্ষিত। এর ফলে অনেকটা হতাশই হয়েছেন এই শ্রমিক নেতা।
বতর্মান সরকারের গত বছরের শাসনামলের বাজটেও পোশাক শ্রমিকদের আবাসন খাতে কোনো বরাদ্দ ছিল না। এবারও না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন রেডিমেট গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমীন।

লাভলী ইয়াসমীন বাংলানিউজকে বলেন, এই খাতের ৮০ শতাংশ শ্রমিকই নারী। তাদের পক্ষে এত টাকা বাসা ভাড়া দিয়ে রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকায় থাকা প্রায় অসম্ভব। তাই, আমরা গত কয়েক বছর ধরে দাবি করে আসছিলাম যাতে আবাসন, রেশনিং, চিকিৎসা ও পোশাক শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কিছু বরাদ্দ থাকে।

তিনি বলেন, কিন্তু এ বিষয়টি এবারের বাজেটেও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের আবাসন খাতে বাজেটে যাতে সরাসরি বরাদ্দ থাকে, সে বিষয়ে ভাবা উচিত সরকারের।

অন্যদিকে, বর্তমান সরকারের ২০০৮ ও ২০১৪ সালের উভয় নির্বাচনের ম্যানিফেস্টুতে পোশাক শ্রমিকদের আবাসন ও রেশনিংয়ের ব্যবস্থার অঙ্গীকারের কথা বলা হলেও চলতি বাজেটেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ টেক্সাটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফোডরশেনের সাধারণ সম্পাদক তপন সাহা।

তপন সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এর আগেও আওয়ামী লীগ সরকার পোশাক শ্রমিকদের আবাসনের কথা বললেও তা বাজেটে আনেনি। চলতি বছর এই সরকার ফের নির্বাচিত হলে আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম যে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে অন্তত পোশাক শ্রমিকদের আবাসন ও রেশনিংয়ের ব্যবস্থা বাবদ বরাদ্দ রাখা হবে। কিন্তু, এবারও হলো না। দেশের সবচেয়ে বেশি রফতানি আয় করছে যে খাতটি, সে খাতের শ্রমিকদের এভাবে অবহেলিত করা কতটা ঠিক হলো, তা বর্তমান সরকারের ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ করছেন।

৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা সরকারের প্রথম বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী। নতুন সরকার, তাই চাপ আছে অর্থমন্ত্রীর ওপর। ফলে, বিশাল আকারের বাজেট দিতে হলো তাকে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশাল আকারের এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে মুহিত মনে করেন।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী; যা চলতি বাজেট থেকে ২৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। বাজেট পেশের আগে মন্ত্রিসভায় এটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।