ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

২০১৮ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য নির্মূল

বাজেট রির্পোর্টিং টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৪
২০১৮ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য নির্মূল

ঢাকা: ২০১৮ সালের মধ্যে অতিদারিদ্র্য চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে বাজেটে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
 
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রী ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা এবং ঘাটতি (অনুদান ছাড়া) ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। মূল এডিপি ধরা হয়েছে ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ ৪৩ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ ১৮ হাজার ৬৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের হার, বিদেশি বিনিয়োগ ও ঋণপ্রবাহ বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী অর্থমন্ত্রী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিতে থাকা দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সক্ষম করে তোলা হবে। আমাদের ধারাবাহিক সাফল্যের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১০.২ শতাংশে নেমে আসবে।
 
তিনি বলেন, সামাজিকভাবে অবহেলিত জনগোষ্ঠির আবাসিক সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য আবাসন তৈরির কাজ চলমান আছে। গরিব, বঞ্চিত, অবহেলিত ও পরিত্যক্ত গোষ্ঠিগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে আবাসনসহ উপযুক্ত কার্যক্রম শুরুর জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে।
 
অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের এ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। দ্রুততার সঙ্গে দারিদ্র্য দূর করতে আমরা লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ করবো। এজন্য তিনটি পৃথক সামজিক নিরাপত্তা কৌশল চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উপকারভোগী, পপুলেশন রেজিস্ট্রার ও অতিদরিদ্রদের তালিকা প্রনয়ন করা হবে।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির পরিধি ব্যপক। আমাদের প্রতিটি কৌশল যেমন প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক, তেমনি দরিদ্রবান্ধব। আমাদের কাজ হবে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি, যাতে একদিকে দরিদ্র জনগণ তাদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজ নিজ অবস্থার উন্নতি ঘটাবে, অন্যদিকে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে শক্তিশালী সুরক্ষা ব্যবস্থা।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধি ভাতাভোগীর সংখ্যা চার লাখ জন ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ হাজার জনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধীদের জন্য গঠিত ট্রাস্টে ২০ কোটি টাকা ও শারীরিক প্রতিবন্ধী কল্যাণ ট্রাস্টের অনুকূলে ৫ কোটি টাকার তহবিল দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।