ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাজেট

রেলপথ নিয়ে মহাপরিকল্পনা, পুনর্জাগরণ ঘটবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
রেলপথ নিয়ে মহাপরিকল্পনা, পুনর্জাগরণ ঘটবে

ঢাকা: স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথ। ঊনিবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিশ্বব্যাপি রেলপথ নির্মাণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও এর যাত্রা শুরু হয়।

কিন্তু পরবর্তীতে খাতটি নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা না থাকায় তেমন উন্নতি সাধিত হয়নি। তবে অনেক বছর পর হলেও রেলওয়ে নিয়ে বাজেটে ২০ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান ‘রেলওয়ে মহাপরিকল্পনা’ প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

এ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে রেলপথের পুনর্জাগরণ ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার(৪ জুন‘২০১৫) জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই মহাপরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত অবস্থিত কক্সবাজার জেলা, বাংলাদেশের পশ্চিমে অবস্থিত মেহেরপুর জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনাসহ নতুন নতুন অনেক জায়গা রেলের অন্তর্ভুক্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই মহাপরিকল্পনায়।

এই মহাপরিকল্পনার আওতায় ২৩৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।

তবে প্রাথমিকভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী অর্থবছরে মোট ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। উল্লেখ্য-২০১৪-১৫ অর্থ বছরে রেলপথের উন্নয়নে ৩ হাজার ৪৫০ কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
 
পরিকল্পনায় রয়েছে, দোহাজারী-কক্সবাজার-গুনদুম, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া, পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা, ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর এবং খুলনা-মংলা নতুন রেললাইন নির্মাণ।

মেহেরপুর জেলাকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা, পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল সার্ভিস চালু করা, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তরে রেল সেতু নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেল লাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ। অন্যদিকে আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ‘আখাউড়া-আগরতলা’ রেল কানেকটিভিটি স্থাপন করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
 
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তার বাজেট বক্তব্যে বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিশ্বব্যাপী রেলপথ নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় একই সময়ে আমাদের দেশেও রেলপথ নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশে এক সময়ে রেলপথ ও জলপথই ছিল যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম। অধুনা সেই ভুমিকা মূলত সড়ক পরিবহনই গ্রহণ করেছে। এরইমধ্যে জলপথ অনবরত সংকুচিত হয়েছে এবং রেলপথের ব্যবহার ও সংরক্ষণ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। আমরা রেলপথের পুনর্জাগরণের কৌশল গ্রহণ করেছি এবং রেলখাতে যে বিনিয়োগ আছে তার যথাযথ ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছি। ২০ বছর মেয়াদী একটি রেলওয়ে মাস্টার প্ল্যান করেছি।

এবারে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
এজেডকে/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।