ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ৪০০ কোটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য বরাদ্দ ৪০০ কোটি জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য ২০১৮-১৯ সালের বাজেটে ৪০০ কোটি টাকা রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। স্বাধীনতার ৪৭ বছরের মাথায় এবারই প্রথম এমন উদ্যোগ নেওয়া হলো।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। তিনি মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।



মুহিত বলেন, অস্বচ্ছল যুদ্ধাহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যা অথবা নাতি-নাতনিদের সহায়তা দেওয়ার জন্য একটি ব্যবস্থা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রস্তুত করছে। এজন্য আগামী বাজেটে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের জন্য দেশের সব জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৫৭টি জেলায় ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ও ১৬টি বিশেষায়িত হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা খরচে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।

তিনি জানান, ‘ভূমিহীন ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৮৫২টি ইউনিট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরও ১১৯টি ইউনিট নির্মাণাধীন। এছাড়াও ৮ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে আবাসন সুবিধা দিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সব বে-সামরিক, সামরিক, শহীদ, খেতাবপ্রাপ্ত ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০১৮’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। যা বর্তমানে জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে। আগামী অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বৈশাখী ভাতা ও বিজয় দিবস ভাতা চালু করা হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্মৃতি সংরক্ষণে মুক্তিযুদ্ধকালে মিত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনাসমূহ মেরামত ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরা ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সকল জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর-কাম-লাইব্রেরি নির্মাণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
আরএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।