ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

নদীর তীরে মিলল বিপন্নপ্রায় সজারু, পরে মুক্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
নদীর তীরে মিলল বিপন্নপ্রায় সজারু, পরে মুক্ত

মাদারীপুর: নদী সাঁতরে তীরে উঠতেই স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়েছে একটি পূর্ণ বয়স্ক সজারু।

মাদারীপুর জেলার শিবচরের উৎরাইল নয়াবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপন্নপ্রায় প্রাণীটি ধরা পড়ে।

 

এটির ওজন প্রায় তিন/চার কেজি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উৎরাইল এলাকায় আড়িয়াল খাঁ নদ সাঁতরে তীরে ওঠে সজারুটি। পরে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়লে স্থানীয় কয়েকজন সজারুটি ধরে বেঁধে ফেলেন। পরে নদের পাড়ে দোকানের সামনে নিয়ে এলে লোকজন ভিড় করেন সজারু দেখতে। বেশ কিছুক্ষণ পর নদের পাড়ের ঝোপঝাড়ের কাছে সজারুটি ছেড়ে দেন তারা। নদের পাড়ে কাশবনসহ উৎরাইল নয়াবাজার সংলগ্ন এলাকায় সজারুর বিচরণ রয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় দোকানদার মো. শামীম হোসেন বলেন, নদীর পার থেকে সজারুটি ধরে নিয়ে আসেন এলাকার দু/তিনজন লোক। এখানে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখা হয়। কিছুটা সুস্থ হলে নদীর পাড়ের কাশবনের কাছে ছেড়ে দেন তারা। এ এলাকায় প্রায়ই সজারুর দেখা মেলে। রাতে দল বেঁধে সজারু খাবারের সন্ধানে বের হয়। আমাদের বাড়ির কচুগাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রায়ই সজারুর কাঁটা পরে থাকতে দেখি বাড়ির আনাচে-কানাচে। রাস্তাঘাটে। দিনে কখনো দেখা যায় না।

জানা গেছে, সজারু তীক্ষ্ণ দাঁত এবং সমস্ত শরীরে কাঁটাযুক্ত একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী।  

উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের সজারুকে দেশি বা ভারতীয় সজারু বলা হয়। কখনো কখনো এটিকে তীক্ষ্ণ দাঁত বিশিষ্ট ইঁদুর হিসেবে গণ্য করা হয়। নিরামিষভোজী জীব হিসেবে এটি পাতা, ঘাস, ছোট ছোট গাছপালা খেয়ে জীবনধারণ করে। গায়ের রঙ কালো প্রকৃতির হয়। মাটিতে গর্ত খুঁড়ে বাসস্থানের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলে। এদের জীবনকালের সঠিক সময়কাল পাওয়া যায়নি। খাবার সংগ্রহের জন্য এরা বিভিন্ন ধরনের গাছপালার পাশাপাশি ফলমূল, শস্য, গাছের শিকড় পর্যন্ত খেয়ে ফেলে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।