ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ভাগ করা উচিত না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৬
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি ভাগ করা উচিত না ছবি: দীপু-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে বিভাজন করা উচিত না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

তিনি বলেন, ধনী, দরিদ্র সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এটা কোনো একটা দেশের সমস্যা নয়, এটা গ্লোবালি সমস্যা।
 
বৃহস্প‌তিবার (২৭ অ‌ক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়ত‌নের কপ-২২ বৈ‌শ্বিক জলবায়ু স‌ম্মেলনে 'বিপদাপন্ন জন‌গোষ্ঠীর প‌ক্ষে নাগ‌রিক সমা‌জের প্রস্তাবনা' শীর্ষক সে‌মিনা‌রে একথা ব‌লেন মন্ত্রী।
 
বাংলা‌দেশ প‌রিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলা‌দেশ প‌রি‌বেশ সাংবা‌দিক ফোরাম (বি‌সি‌জেএফ), ইক্যুই‌টি অ্যান্ড জা‌স্টিস ওয়া‌র্কিং গ্রুপ-বাংলা‌দেশ (ইক্যুই‌টি‌বি‌ডি), ‌সেন্টার ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভ‌লিহুড (সিএসআরএল), অক্সফামসহ ক‌য়েক‌টি বেসরকা‌রি সংস্থা এ সে‌মিনা‌রের আয়োজক।
 
প‌রি‌বেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্প‌র্কিত সংসদীয় স্থায়ী ক‌মি‌টির সভাপ‌তি ড. হাছান মাহমু‌দের সভাপ‌তি‌ত্বে সেমিনা‌রে বক্তব্য রা‌খেন, ‌ডিপার্ট‌মেন্ট অব এনভায়রন‌মেন্টের প‌রিচালক জিয়া, বাংলা‌দেশ উন্নয়ন প‌রিষ‌দের নির্বাহী প‌রিচালক ড. নিলুফার, ‌প্রেসক্লা‌বের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা‌দেশ প‌রি‌বেশ সাংবাদিক ফোরা‌মের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বি‌সি‌জেএফ-এর সভাপ‌তি সাংবাদিক কাওসার রহমান, ওয়ার্কার্স পা‌র্টির নগর নেতা আবুল হো‌সেন, শার‌মিন্দ নি‌লোর্মী প্রমুখ।
 
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা বিশ্বব্যাপী, তাই আমাদের অবস্থান হবে কীভাবে সবার সঙ্গে একমত হয়ে সুবিধা আদায় করা যায়। সেসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুত হচ্ছি, আমরা সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করছি এবারের সম্মেলনের জন্য।
 
মন্ত্রী বলেন, এবারের জলবায়ু সম্মেলনে আমাদের অবস্থান অবশ্যই মুখোমুখি মনোভাব হবে না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকবো।
 
এসময় মন্ত্রী আগের সম্মেলনের কথা তুলে ধরে বলেন, প্যারিস সম্মেলনে কথা ছিলো, তোমরা (উন্নত রাষ্ট্র) যারা আমাদের সস্তা উপাদান ও শ্রম ব্যবহারে উন্নত হয়েছো, তোমরা তোমাদের মোট জিডিপির ৫ শতাংশ আমাদের দেবে। সেটা আদায় করা যায়নি। তাই আমরা এবার মুখোমুখি না হয়ে সমঝোতার মাধ্যমে কতটুকু আদায় করা যায় সেদিকে বেশি খেয়াল রাখবো।
 
সভাপতির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী না হলেও এর অসহায় শিকার। শুরু থেকেই আমাদের অবস্থান ছিলো, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির জন্য আমরা অনুদান বা ঋণ চাই না, ক্ষতিপূরণ চাই। সেই অবস্থান থেকে সরে আসা উচিত হবে না।
 
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক যদি আমাদের অনুদান দিতে চায়, সেটা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিলে কোনো কথা থাকবে না। তবে কোনো অবস্থাতেই ঋণ নেওয়া উচিত হবে না।

জলবায়ু পরিবর্তনে যারা বাস্তুহারা হচ্ছে তাদের বিষয়ে করণীয় এবারের সম্মেলনে জোরালোভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।
 
বাংলা‌দেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, অ‌ক্টোবর ২৭, ২০১৬
এসএম/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।