ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কক্সবাজারের দেড়শ’ কিলোমিটারের মধ্যে ফুঁসছে মোরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
কক্সবাজারের দেড়শ’ কিলোমিটারের মধ্যে ফুঁসছে মোরা ঘূর্ণিঝড় মোরা

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের দেড়শ’ কিলোমিটারের মধ্যে চলে এসেছে। সকাল ৬টা নাগাদ এটি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও হাতিয়া এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপকূল অতিক্রম করবে।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারে সমুদ্রে বাতাসের গতিবেগের সঙ্গে ঢেউয়ের উচ্চতা বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টি ভোর ৩টায় (৩০ মে) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩০ কি. মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি. মি. দক্ষিণে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৩৫ কি. মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিল।

বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কি. মিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। উপকূল অতিক্রমকালে এই ঝড়ের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট বেশী জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।