ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মুষল বৃষ্টিতে ভোগান্তি বরিশালে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
মুষল বৃষ্টিতে ভোগান্তি বরিশালে বরিশালে বৃষ্টি। ছবি: মুশফিক সৌরভ

বরিশাল: মৌসুমটাই এমন, কখনো মুষলধারায়, কখনোবা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত তো থাকছেই।

আর এ বৃষ্টিতেই যেন জনভোগান্তিতে রুপ নিয়েছে বরিশাল নগর।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, বুধবার বেলা ১২টা ৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বরিশালে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

মুষলধারায় না হলে এতো অল্প সময়ে এতো বৃষ্টিপাত সম্ভব নয়। আর কয়েকঘণ্টার এ বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের প্রধান সড়কগুলোসহ অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। অল্প সময়েই তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

বৃষ্টিতে নগরের সদররোড, কালীবাড়ী রোড, বটতলা সড়ক, বগুরা রোড, শিতলাখোলা, মুন্সিরগ্রেজ, সদর গালর্স স্কুল, বাংলা বাজার, চকবাজার রোড, ভাটিখানা, কাউনিয়ার, ব্রাঞ্চ রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। অনেক জায়গায় তো হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে যাওয়ার কারণে আশপাশের এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি- ঘরে পনি উঠে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

সদররোডের ব্যবসায়ী আঃ কুদ্দুস বলেন, অল্প বৃষ্টিতে নগরের প্রধান সড়কগুলোসহ ছোট ছোট লেনগুলোতে পানি জমে যায়। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে পানি উঠে দুভোর্গের সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত এক বছরের মধ্যে ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে, পলিথিনসহ নানা ময়লা জমে এখন বৃষ্টির পানি নামছে না। বরং ড্রেনের ময়লা রাস্তায় ভেসে বেড়াচ্ছে। বরিশালে বৃষ্টি।  ছবি: মুশফিক সৌরভ

পুর্ব পরিকল্পনাহীন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ড্রেনগুলো সঠিক সময়ে পরিষ্কার না করার কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি অপর ব্যবসায়ী সুফিয়ানের।

তবে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, অল্প সময়ের বৃষ্টি হলেও তার পরিমাণ ছিলো অনেক বেশি।   হঠাৎ করে অতিবর্ষণের ফলে নগরীর কিছু কিছু এলাকায় সামান্য জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে ঠিক,  কিন্তু তা স্থায়ী নয়। যে সব সড়কে পনি জমেছে সেগুলোতে দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য পরিছন্নতা কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা রাস্তার উপরে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের কাজ করছে।

এদিকে টানা বৃষ্টি ও শহরের রাস্তাঘাটে পানি জমে যাওয়ায় নগরবাসীসহ ঈদ মার্কেটে বেচা-বিক্রিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত অনেকটাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে মার্কেটগুলো।

চকবাজারে মার্কেট করতে আসা তাসফিয়া মিম বলেন,  হঠাৎ করে বৃষ্টি আসার কারণে ভিজতে হয়েছে।   মার্কেটে আশ্রয় নিতে গিয়ে দেখি, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য মানুষের ভিড়। বৃষ্টি শেষে রাস্তায় নেমে পানির মধ্য দিয়ে হেঁটে বাসায় যেতে হচ্ছে।

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক মো. আ. কুদ্দুস বলেন, দুপুর ১২ টা ৫ মিনিট বেলা ৩টা  পর্যন্ত ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৭
এমএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।