ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

‘ঝুমকো লতা কানের দুল’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
‘ঝুমকো লতা কানের দুল’ শোভাময়ী ঝুমকোলতা, ছবি: ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন

মৌলভীবাজার: লতানো গাছে অনেক পাতার সমাহার। দূর থেকে গাছটিকে ঝোপালো বলা যায়। তারই কোনো কোনো অংশে দারুণ সৌন্দর্যশোভা হয়ে ফোটে কানের দুলের মতো দেখতে ঝুমকো লতা ফুল। 

ফররুখ আহমদের ‘ঝুমকো লতা’ নামের ছড়ায় ঝুমকো লতার সৌন্দর্য ধরা পড়েছে এভাবে:  

‘ঝুমকো লতা কানের দুল
উঠল ফুটে বনের ফুল-
সবুজ পাতার ঘোমটা খুলে
ঝুমকো লতা হাওয়ায় দোলে। ’  

ফুলটি সত্যি দারুণ সুন্দর।

তবে একটি সরাসরি কোনো ফুলের গাছ নয়। মূলত ফলের গাছ। আর সেই ফলটির নাম ট্যাং ফল। অম্ল স্বাদের ট্যাং ফল শরবতের জন্য বিখ্যাত। মনোমুগ্ধকর ফুলের পরে গাছটিতে বৃত্তাকার ফল আসতে থাকে।  

প্রকৃতিতে দারুণ সৌন্দর্য ছড়ায় ঝুমকো লতা। নীল রঙের সঙ্গে সাদা আর হালকা হলদে রঙের অপূর্ব সংমিশ্রণ। দেখলে হৃদয় ভরে যায়।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঝুমকো লতার ইংরেজি নাম Passion Flower এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Passiflora। এটি ট্যাং ফলের ফুল। একে ট্যাং ফলের গাছ বলে।  

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ফল ধরে। আষাঢ়, শ্রাবণ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত গাছে ফল থাকে। তবে আমি জ্যৈষ্ঠ মাসেও এর ফুল দেখেছি। ট্যাং ফল শরবত হিসেবে খায়। এর ওষুধিগুণ রয়েছে।  

এটি প্রধানত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার গাছ। এখন মোটামুটি সব ট্রপিক্যাল এলাকায় পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েয়শিয়া ভারত, বাংলাদেশসহ অনেক দেশেই এখন চাষ হয়। শহরের সৌখিন বৃক্ষপ্রেমীদের বাসায় গাছটি দেখা যায় বলেও জানান ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।   


বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।