ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পাথরঘাটায় ঘরচাপায় দাদি-নাতির মৃত্যু, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
পাথরঘাটায় ঘরচাপায় দাদি-নাতির মৃত্যু, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ছবি: বাংলানিউজ

পাথরঘাটা (বরগুনা): ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে বরগুনার উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটায় কয়েকশ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ার কারণে ঘরের নিচে চাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। এতে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

এছাড়া শতশত গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে উপকূলবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রের যাওয়ার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালালেও অনেক পরিবার এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি।

উপকূল ঘুরে দেখা যায়, পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদ সংলগ্ন গাববাড়িয়া, তাফালবাড়িয়া, ছোট টেংরা, পদ্মা, চরলাঠিমারা, বিষখালী নদী সংলগ্ন জিনতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এছাড়া অনেক গাছপালাও ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপকূলবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালালেও অনেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়নি। তবে অধিকাংশ মানুষ ওই কেন্দ্রে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দাদের জন্য শুকনো খাবারসহ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

জিনতলা গ্রামের কুলসুম বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ঘর থুইয়া কুম্মে যামু। সিডরের সময় ঘরবাড়ি ভাইঙ্গা যায়। এহন যাইয়া কি হরমু।

এদিকে আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ায় ঘরের নিচে চাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দুই নম্বরর ওয়ার্ডের কালিয়ারখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত কালিয়ারখাল এলাকার আব্দুল বারেকের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬০) ও নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।

ওই ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. শাহিন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি সদস্য মো. শাহিন জানান, ভোরে বসত ঘরের পাশেই বড় একটি গাছ ঘরের উপর পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ঘুমন্ত অবস্থায় নুরজাহান বেগম ও তার নাতি জাহিদুলের মৃত্যু হয়। ঘরে থাকা আরও ছয়জন আহত হয়।

দুর্যোগ মোকাবিলার দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা  দেওয়া হবে। আর ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯/আপডেট: ১১১০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।