ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘূর্ণিঝড়ে ৫ জেলায় ছয় জনের প্রাণহানি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
ঘূর্ণিঝড়ে ৫ জেলায় ছয় জনের প্রাণহানি বিধ্বস্ত ঘর। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঘরচাপা পড়ে পাঁচ জেলায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এক জন, বরগুনায় দুই, ভোলায় এক, পটুয়াখালীতে এক ও লক্ষ্মীপুরে একজন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরো ৩৪ জন।

বাংলানিউজের জেলা ও উপজেলা করেসপন্ডেন্টদের পাঠানো খবর:
 
পাথরঘাটা উপজেলা করেসপন্ডেন্ট জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ঘরচাপা পড়ে দাদি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়ার খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- নুরজাহান বেগম (৬০) কালিয়ার খাল এলাকায় আব্দুল বারেকের স্ত্রী ও তার নাতি জাহিদুল ইসলাম (৮)।

চরদুয়ানি ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন মিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  হয়েছে।

ভোলা ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, ঘুর্ণিঝড়ে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।  

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।

অপরদিকে দৌলতখানের মদনপুর এলাকায় ঝড়ে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার বাসিন্দা লুৎফর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।  

নোয়াখালী ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূর্বণচরের মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে ফণীর অগ্রভাগ থেকে সৃষ্ট প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।  

ঝড়ে ঘরের মধ্যে চাপা পড়ে চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নে একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা।      

শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলায় এ ঝড় আঘাত হানে। নিহত ও আহতদের নামপরিচয় এখনো জানা যায়নি।  

একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি চর আমানউল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  

পটুয়াখালী ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গাছচাপায় মো. হাবিব নামে আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

শনিবার (০৪ মে) রাত ৩টার দিকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। মো. হাবিব কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খেজুরা গ্রামের হারুন মুসুলির ছেলে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহম্মদ বাংলানিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

লক্ষ্মীপুর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট জানান,  লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবলে পড়ে আনোয়ারা খাতুন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।  

এছাড়াও ওই ইউনিয়নের অন্তত দুই শতাধিক কাঁচাঘর বাড়ি ভেঙে গেছে। শত শত গাছপালা উপড়ে গেছে।

শনিবার (৪ মে) ভোরে রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে এসব ঘটনা ঘটে।  

** পাথরঘাটায় ঘরচাপায় দাদি-নাতির মৃত্যু
** সূবর্ণচরে প্রবল ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১
** পটুয়াখালীতে গাছচাপায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু
** রামগতিতে ঝড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯/আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।