ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

পিগমেন্টজনিত কারণেই কালো কাক ‘সাদা’ হয়

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
পিগমেন্টজনিত কারণেই কালো কাক ‘সাদা’ হয় রাঙামাটিতে দেখা পাওয়া সাদা কাক। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: আমরা সবাই কালো কাক দেখে অভ্যস্ত। যদি কখনো সাদা কাকের কথা বলে হয়, তবে কিছুটা অবাক লাগে! মনে হয়, এটা আবার কী! অবাস্তব ব্যাপার!

কিন্তু না; অবাস্তব ব্যাপার নয়। সাদা কাকও আছে।

তবে সংখ্যা খুবই কম। সচরাচর দেখা যায় না। আর হঠাৎ করে সাদা কাক আমাদের চোখের সামনে পড়ে গেলে বা আমরা কেউ দেখে ফেললে বিস্ময়ে ভ্রু কোঁচকাই!

আমাদের চারপাশে দু’ রকম কাকের বিচরণ এবং ওড়াওড়ি দেখা যায়। এগুলো হলো: দাঁড়কাক এবং পাতিকাক। কাক সাধারণত ৪০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এদের ইংরেজি নাম Jungle Crow ও House Crow.

সাদাকাকের এ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার আদিবাসী পর্যটক গাইড শ্যামল দেববর্মা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার এক শুভানুধ্যায়ী রাঙামাটি থেকে এ ছবিটি পাঠিয়েছে। আমরা সাধারণত সাদা কাক দেখিনি। তাই জনগণকে সচেতন করতেই ছবিটি পোস্ট করেছি। এমন কাক নিয়ে মানুষ কৌতূহল কিছুটা দূর করা উচিত। এটি কাকের জন্মগত ত্রুটি।   

বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, এটাকে ‌‘অ্যালবিনো কাক’ বা ‘অ্যালবিনো ক্রো’ বলা হয়। সাধারণত এর ঠোঁট ও পাগুলো গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। আফ্রিকা মহাদেশ ও আমেরিকায় সাদা-কালো কাক দেখা যায়, যাদের ‘পাইড ক্রো’ বলা হয়। তবে আমেরিকায় সম্পূর্ণ সাদা কাকের প্রজাতিও রয়েছে।

কক্সবাজারসহ আরও কয়েকটি এলাকায় এর আগে সাদা কাক দেখা গেছে।  এটা আমাদের কালো পাতিকাকেরই প্রজাতি। যে কোনো প্রাণীরই পিগমেন্টের সমস্যার কারণে রং এমন হতে পারে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২০
বিবিবি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।