ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

প্রস্তুত ৭৫০ আশ্রয় কেন্দ্র, চলছে প্রচার-প্রচারণা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
প্রস্তুত ৭৫০ আশ্রয় কেন্দ্র, চলছে প্রচার-প্রচারণা 

পটুয়াখালী: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে সরকারি দপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। জেলায় এ পর্যন্ত ৭৫০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পূনর্বাসন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান।         

ইতোমধ্যে সাইক্লোন শেল্টারে লোকজন নিয়ে আসতে শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

        

আরও নতুন নতুন আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণার কাজ চলমান। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৬-৭ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন।

ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে বলা হয়েছে। শুকনো খাবারের ব্যবস্থা রেখেছে প্রশাসন।  

জেলা ও উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলাসহ সব উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে। চর ও দ্বীপ সমূহের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বিপদ সংকেত দেখানোর জন্য সাংকেতিক পতাকা টাঙানো হয়েছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এছাড়াও দুর্যোগের আগে ও পরে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সাইক্লোন শেল্টারে নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে জেলা পুলিশ সুপার।

গত সোমবার পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ পটুয়াখালী জেলায় (০৭) নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণা করায় দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার টিমের যৌথ প্রস্তুতি সভা হয়েছে।

এছাড়াও পটুয়াখালী ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা গতকাল রাতে ও সকালে জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গণসচেতনতা বৃদ্ধি, দুর্গতদের আশ্রয়মুখী করতে মাইকিং ও কাউন্সিলিং করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শন করে কোনো অসঙ্গতি দেখলে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসনকে অবহিত করছেন।

এদিকে পায়রা বন্দরসহ জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাব পড়েনি। বন্দরে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। সাগর আগের তুলনায় কিছুটা উত্তাল হয়ে ওঠায় গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরা নৌকা এবং ট্রলারগুলোকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।  

এদিকে আগামী বুধবার (২০ মে) থেকে টানা ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।

দুর্যোগ মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার মানুষের খাদ্য সরবরাহের জন্য চিড়া, গুড়, বিশুদ্ধ পানিসহ মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।