ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সিলেট বিভাগে আগস্ট মাসে বৃষ্টিপাত ১৩৪১ মিলিমিটার

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
সিলেট বিভাগে আগস্ট মাসে বৃষ্টিপাত ১৩৪১ মিলিমিটার এক চা কন্যার চা পাতা উত্তোলন। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: বাংলাদেশের চা শিল্পাঞ্চল সিলেট। সর্বাধিক চা বাগান বেষ্টিত এই জনপদের সাফল্য বৃষ্টির কণায় কণায় গাঁথা।

সে বিবেচনায় বৃষ্টিপাত এলাকার আশীর্বাদপুষ্ট প্রাকৃতিক গতিধারা।

তাতে দেখা গেছে, সিলেট বিভাগে গত দুই আগস্টের চেয়ে এবছরের আগস্টে বৃষ্টিপাত সবচেয়ে বেশি হয়েছে। তাতেই দেখা দিয়েছে সম্ভাবনা। সিলেট আবহাওয়া অফিস এবং শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী আগস্ট-২০২১ সালে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৩৪১ দশমিক ৮ মিলিমিটার।

২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১ সালের ‘আগস্ট’ মাসকে বিবেচনায় এনে পরিসংখ্যানের নানা তথ্যে মূল্যায়নের চেষ্টা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের আগস্টেই তিন বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৩১ দিনের মধ্যে ৩০ দিন সিলেট বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯১৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী অমর চন্দ্র তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে আগস্টে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯১৩ দশমিক ৮ মিলিমিটার। মোট ৩০ দিন বৃষ্টিপাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১ আগস্ট ৮৫ মিমি, ২৪ আগস্ট ৮৩ দশমিক ৬ মিমি, ১৫ আগস্ট ৬৩ দশমিক ৭ মিমি এবং ২৩ আগস্ট ৫০ দশমিক ৮ মিমি।

তিনি আরো বলেন, ২০২০ সালের আগস্টে ৩১ দিনের মধ্যে মোট ২৬ দিন বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এই বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যা ৪৩০ দশমিক ২ মিলিমিটার। ২০১৯ সালের আগস্টে ৩১ দিনের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে ২৪ দিন। এদিনগুলোতে রেকর্ডকৃত বৃষ্টিপাতের সংখ্যা ৪০৫ দশমিক ১ মিলিমিটার।

এদিকে, শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছর আগস্টে শ্রীমঙ্গলে মোট ৪২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট ৬৩ মিলিমিটার, ২৬ আগস্ট ৬২ মিলিমিটার, ৩ আগস্ট ৪৪ মিলিমিটার এবং ৬ আগস্ট ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে শ্রীমঙ্গলে ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল বলে জানান এ আবহাওয়া সহকারী।

দেশের চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ (বিসিএস), সিলেটের ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র টি-প্লান্টার গোলাম মোহাম্মদ শিবলি বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট বিভাগে গত বছরের চেয়ে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় চায়ের জন্য এটি খুবই ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে। কেননা, বছর শুরুতে আমরা বেশ ড্রউটের (খরার) মুখোমুখি হয়েছিলাম। ধারণা করা যেতে পারে, বছরের শুরু থেকে এবারের টানা খরায় আমাদের বাগানগুলো এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় পচাত্তর শতাংশ চা উৎপাদনে পিছিয়ে ছিলাম।

‘জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস হলো চা উৎপাদনের প্রধান সময়। এই কয়েকমাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়া অসম্ভব নয়। ’

শুধু বৃষ্টিপাতই এককভাবে নয়, চায়ের সাফল্যনির্ভর উৎপাদনের জন্য মূল বিষয়গুলো হলো- অনুকূল পরিবেশ, সঠিক বৃষ্টিপাত ও স্বাভাবিক তাপমাত্রা। বৃষ্টি এবং রোদের তাপ দুটোই চায়ের জন্য প্রয়োজন বলে জানান সিনিয়র টি-প্লান্টার জিএম শিবলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
বিবিবি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।