ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

উপকূল থেকে উপকূল

সাঁকোর অভাবে ভোগান্তিতে হাজারো গ্রামবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
সাঁকোর অভাবে ভোগান্তিতে হাজারো গ্রামবাসী সাটুরিয়ায় ধলেশ্বরী খেয়াঘাটের একাংশ, ছবি: বাংলানিউজ

মানিকগঞ্জ: বর্ষায় পানিতে টইটম্বুর থাকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ধলেশ্বরী খেয়াঘাট লাগোয়া নদীসহ আশেপাশের এলাকা। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে নদী পারাপার হতে হয়। এখন নদী শুকিয়ে চৌচির প্রায়। নদীর বুকজুড়ে এখন বালু আর মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য।

খেয়াঘাটে হাঁটুপানি। ঘাটে নামেমাত্র একটি ডিঙ্গি নৌকা থাকলেও লোকজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল।

পারাপারে নেই সাঁকোর ব্যবস্থাও। হাঁটুপানি ভেঙে নদী পারাপার হলেও সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে খেয়াঘাটের টাকা।

প্রশাসনের যথেষ্ট নজরদারির অভাব আর নদী পারাপারের জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকাতে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার ধলেশ্বরী খেয়াঘাটের হাজারো লোকজন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সামান্য একটি বাঁশের সাঁকোর অভাবে এমন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের।  

সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর, বরাইদ, ছনকা বাজার, কামারপাড়া, দৌলতপুর উপজেলার গালা, কাকাইদ, বাইতারা, নাটিয়াবাড়ি ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার হয় এ ঘাট দিয়ে। সাধারণ মানুষ হাঁটুপানি ভেঙে নদী পারাপার হতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাদের পণ্য আনা-নেওয়ায় গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

গোপালপুর এলাকার কৃষক হামেদ আলী বাংলানিউজকে জানান, তাদের এলাকার অধিকাংশ লোকের কৃষিজমি নদীর ওই পারে। কৃষিজমিতে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ওই খেয়াঘাট। এখন নদীতে পানি কম থাকায় সাধারণ মানুষকে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নদী পারাপার হওয়ার সময় মধ্যবয়সী এক নারী জানান, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার শত শত মানুষ ওই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়। সামান্য কয়েকটি বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করলে দুর্ভোগে পড়তে হয় না। খেয়াঘাটের ইজারাদারের লোকজন টাকা নেওয়ার জন্যে বসে আছে। কিন্তু এমন দুর্ভোগ তাদের চোখে পড়ে না।

এ বিষয়ে ঘাটে টাকা আদায়ের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসময় নদীতে পানি থাকে না। সাধারণ মানুষ হেঁটেই নদী পার হয়। কিন্তু কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তাই শিশু ও বয়স্কদের জন্য ঘাটে একটি ডিঙি নৌকা বয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী জানান, খেয়াঘাটের ইজারা বা অন্যান্য বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেখভাল করে থাকেন। এ বিষয়ে তার কোনো কিছু জানা নেই। তাই সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার জন্যে অনুরোধ করেন তিনি।

বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, ধলেশ্বরী নদীর ওই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। হাঁটুপানি ভেঙে তাদের নদী পারাপারে কোনো কষ্ট হয় না। কষ্ট হলে তারা লিখিত অভিযোগ করতেন। কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দেননি। বৈশাখ মাসে নদীতে পানি আসে আর যায়। তখন এভাবেই পানি ভেঙে নদী পারাপার হতে হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘন্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮ 
কেএসএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।