ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

ব্যবসায়ীদের বদনাম তাদেরই ঘোচাতে হবে: এফবিসিসিআই সভাপতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
ব্যবসায়ীদের বদনাম তাদেরই ঘোচাতে হবে: এফবিসিসিআই সভাপতি

ঢাকা: যারা অনৈতিকভাবে বাজারে কারসাজি করে পণ্যের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি করবে, সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করবে তাদের পক্ষে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) নেই। ব্যবসায়ীদের প্রতি পরিষ্কারভাবে বার্তাটি দিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআইয় ভবনে আয়োজিত পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ বার্তা দেন সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, যারা অনৈতিকভাবে বাজারে কারসাজি করে পণ্যের সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি করবে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করবে তাদের পক্ষে এফবিসিসিআই থাকবে না। এটা ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের পরিষ্কার বার্তা। আমাদের বদনাম আমাদেরই ঘোচাতে হবে। আমরা নীতি-নৈতিকতার মধ্যে থেকে ব্যবসা করবো। আশা করি সরকারও আমাদের সহায়তা করবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করি। আমরা মানুষের কাছে খাদ্যদ্রব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা করা সহজ নয়, প্রতিটি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তারপরও আমরা ব্যবসা করি জনগণের জন্য, দেশের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি এবং যাবো।

একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১০০-১৫০ টাকা বৃদ্ধি হওয়াকে কৃত্রিম সংকট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখান থেকে আমাদের (ব্যবসায়ী) বেরিয়ে আসতে হবে। কেউ যাতে বলতে না পারে সিন্ডিকেট৷ মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে সিন্ডিকেট আছে নাকি?

সাপ্লাই চেইন সবসময় ঠিক রাখার আহ্বান জানিয়ে মাহবুবুল আলম আরও বলেন, সাপ্লাই চেইনে কেউ ব্যাঘাত ঘটালে আমাদের আপত্তি আছে। কেউ কৃত্রিমভাবে সাপ্লাই চেইনে সংকট সৃষ্টি করলে তার পক্ষে এফবিসিসিআই নেই। কারণ, এটাকে আমরা সমর্থন করি না। সাপ্লাই চেইন যাতে ঠিক থাকে। এক শতাংশেরও কম ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে চায়। আমাদের এই বদনাম ঘোচাতে হবে।

ব্যবসায়ী মালিক সমিতিরও মনিটরিং করতে হবে বলে সভায় উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, এটা আমাদের দেখতে হবে। কারণ এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। আমি চাই, আমার ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি করে লাভ করুক। কিন্তু সেটা যেন অনৈতিক না হয়। আমাদের যাতে সিন্ডিকেট, অসাধু শব্দগুলো শুনতে না হয়। এদিকে আপনারা (ব্যবসায়ী সমিতি) নজর রাখবেন। আমরাই আমাদের ঠিক করবো। কাউকে আমাদের ঠিক করার দরকার নেই।

সভায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন৷ তারা দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির কারণসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এজন্য দ্রুত এলসি খোলার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন পণ্যের ট্যাক্স কমানো, সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এবং টিসিবি, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।