ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ফাইনালে পৌঁছে গেল কুমিল্লা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (স্পোর্টস) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
ফাইনালে পৌঁছে গেল কুমিল্লা

ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হলো না। শেষে এসে রীতিমতো ঝড় তুললেন জিমি নিশাম।

অল্পের জন্য তার ছোঁয়া হলো না সেঞ্চুরি। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। কিন্তু বড় জুটিতে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন তাওহীদ হৃদয় ও লিটন দাস।  

সোমবার বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান করে রংপুর। ওই রান তাড়া করতে নেমে ৯ বল আগেই জয় পেয়ে যায় কুমিল্লা। এ নিয়ে টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ২৭ রানে তারা হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। এদিন নতুন এক উদ্বোধনী জুটি নিয়ে খেলতে নামে রংপুর। তবে রনি তালুকদারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দলের ভরসা হতে পারেননি শামীম হোসেন। দুই বলে শূন্য রান করে তানভীর ইসলামের বলে আউট হন তিনি। ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হন রনি তালুকদার, তার উইকেট নেন অভিষিক্ত রোহনাত দৌল্লাহ।  

তিনে খেলতে নেমে রানের দেখা পাননি সাকিব আল হাসানও। ৯ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি। মাঝে এসে মাহেদী হাসানও খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ৯ বলে ৫ রান করেন তিনি। এক প্রান্তে হাল ধরে থাকেন জিমি নিশাম। তার সঙ্গী নুরুল হাসান সোহান শুরুতে কিছুটা ধীরগতিতে খেললেও পরে ছন্দে ফেরেন।  

আরেক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তোলেন নিশাম। মুশফিক হাসানের করা শেষ ওভারে ২৮ রান নেন তিনি। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকালে সুযোগ ছিল তিন অঙ্ক ছোঁয়ার। কিন্তু ওই বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি নিশাম। ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৪৯ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।  

এর আগেই আউট হয়ে যাওয়া নুরুল হাসান সোহান ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ৩০ রান করেন। এই ম্যাচেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া নিকোলাস পুরাস ৯ বলে ১৪ রান করেন। কুমিল্লার মুশফিক বিপিএলের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। ৪ ওভারে ৭২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন তিনি। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট পান আন্দ্রে রাসেল। অভিষিক্ত পেসার বর্ষণ ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।  

রান তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। ফজল হক ফারুকীর বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু এরপর দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। ৮৯ বলে দুজনের জুটি ছিল ১৪৩ রানের। এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রান করা তাওহীদ হৃদয় তার বলে লং অফে ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসানের হাতে।  

তবে ম্যাচের মোড় ততক্ষণে ঘুরে গেছে কুমিল্লার দিকে। মাঝে এসে তিন বলে এক ছক্কা ও চারে ১০ রান করে যান জনাথন চার্লস।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।