ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

বোলিংয়ে বাংলাদেশি, ব্যাটিংয়ে বিদেশিদের দাপট

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
বোলিংয়ে বাংলাদেশি, ব্যাটিংয়ে বিদেশিদের দাপট রুশো-তাসকিন। ছবি: শোয়েব মিথুন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরের শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের দাপট দেখা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম পর্ব শেষেও সেই দাপট অব্যাহত আছে। তবে বল হাতে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা যতটা এগিয়ে, ব্যাট হাতে ততটাই হতাশ করেছে।

বিপিএলের সেরা পাঁচ বোলারের পাঁচ জনই বাংলাদেশের। যাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলা তাসকিন আহমেদ।

১১ ম্যাচ খেলে ৮.৭৫ ইকোনোমি রেটে ২১টি উইকেট নিয়েছেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার।

১১ ম্যাচে ৮.২১ ইকোনোমি রেটে ১৮ উইকেট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়তে আছেন চিটাগং ভাইকিংসের পেসার আবু জায়েদ রাহি। তার পরের অবস্থানে আছেন ফরহাদ রেজা। রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা এই মিডিয়াম পেসার ১১ ম্যাচে ৮.০৩ ইকোনোমি রেটে ১৭টি উইকেট দখল করেছেন।

তালিকার চার ও পাঁচে আছেন ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাদের দু’জনেরই উইকেট সংখ্যা ১৭। তবে ১০টি ম্যাচ খেলে সাকিবের ইকোনোমি রেট ৭.৩৮ ও ১১ ম্যাচ খেলা মাশরাফির ইকোনোমি রেট ৬.৮৩।

ব্যাটিংয়ে সেরা পাঁচে একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান চিটাগংয়ের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সবার ওপরে আছেন রংপুরের রাইলি রুশো। ১১ ম্যাচ খেলে ১৫১.১৭ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে আসে ৫১৪ রান। ৮৫.৬৬ গড়ে পাওয়া এই রানের মধ্যে আছে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি।

রুশোর থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা নিকোলাস পুরান আছেন তালিকার দুইয়ে। সিলেট সিক্সার্সের হয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান ১১ ম্যাচে ১৫৯.৯১ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৭৯ রান। তার নামের পাশে আছে ৩টি হাফসেঞ্চুরি। তারপরে আছেন মুশফিক। ১১ ম্যাচে ১৩৮.০৫ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৭০। তিনিও হাঁকান ৩টি হাফসেঞ্চুরি।

রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলা লরি ইভান্স আছেন তালিকার চারে। আসরের প্রথম সেঞ্চুরিসহ তার নামের পাশে আছে দুটি হাফসেঞ্চুরিও। ১১ ম্যাচে ১৩৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৩৩৯। আর পাঁচে আছেন অ্যালেক্স হেলস। রংপুরের হয়ে খেলা এই ক্রিকেটার ৮ ম্যাচে ১৬৭.০৩ স্ট্রাইক রেটে ৩০৪ রান করেন। এর মধ্যে আছে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি।

ঢাকা ও সিলেট পর্বের থেকে চট্টগ্রাম পর্বে ব্যাটসম্যান ও বোলাররা নিজেদের বেশি মাত্রায় তুলে ধরতে পেরেছেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সেই। চলতি আসরে হওয়া এখন পর্যন্ত ৫ সেঞ্চুরির চারটিই হয় চট্টগ্রাম পর্বে।

অপরদিকে বল হাতেও বোলাররা ছিলেন উজ্জ্বল। আসরে এখন পর্যন্ত হওয়া তিন হ্যাটট্রিকের দুটিই আসে চট্টগ্রামের মাটিতে।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকায় তৃতীয় ও শেষ পর্যব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমকেএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।