ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভাগনির মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে মামা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
ভাগনির মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে মামা ছবি: প্রতীকী

চট্টগ্রাম: প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় এনসিসি (ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স) ব্যাংকের অল্টারনেট পরিচালক আবু ছালেহ মুহাম্মদ ফয়েজ মিঠুকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

সোমবার (২৭ মার্চ ) চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 আবু ছালেহ মুহাম্মদ ফয়েজ মিঠু (৫০), রাঙ্গুনিয়া থানার ফুলগাজী পাড়ার মৃত মুবিনুল হকের ছেলে।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল আব্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ভাগনি সেলিনা আক্তারের স্বাক্ষর জাল, এনআইডি ও ছবি ব্যবহার করে অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তার সহযোগীতায় এফডিআরসহ বিভিন্নভাবে মামা আবু ছালেহ টাকা আত্মসাৎ করেন।

 ভাগনি জাল স্বাক্ষর, ছবি, এনআইডি ব্যবহার করে আর কোনো প্রকার প্রতারণা করেছে কিনা জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।  

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মামলার বাদী সেলিনা আক্তারের পিতা মৃত আব্দুস ছালাম এনসিসি ব্যাংক লিমিটেটের সাবেক একজন পরিচালক ছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর মারা যান। ওয়ারিশ সূত্রে সেলিনা আক্তার, তার ভাই মঈন উদ্দীন এবং মা আনোয়ারা বেগম এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার আনুপাতিক হারে সাকসেশন অনুযায়ী প্রাপ্ত হন। তিনজন মিলে এনসিসি ব্যাংকের ঢাকায় যৌথ একাউন্টের মাধ্যমে তারা হিসাব পরিচালিত করেন। সেলিনা আক্তার বিদেশে থাকেন। ভাই মঈন উদ্দীন চাকরির সুবাধে বেশিরভাগ সময় বিদেশে অবস্থান করেন। মাতা আনোয়ারা বেগম বৃদ্ধ ও অসুস্থ হওয়ায় পরিবারের সকলের সিদ্ধান্তে বাদীর আপন মামা আবু ছালেহ মুহাম্মদ ফয়েজ মিঠুকে পরিবারের পক্ষ থেকে এনসিসি ব্যাংকের অল্টারনেট পরিচালক মনোনীত করা হয়। ২০২২ সালের ১৭ ডিসেম্বর মামলার বাদীর সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে এনিসিসি ব্যাংকের একাউন্টের হিসাব প্রদানের অনুরোধ জানান মিঠুকে। কিন্তু হিসাব না দিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করেন মিঠু । সেলিনা প্রবাসে থাকাকালীন স্বাক্ষর জাল করে ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে প্রতারক চক্র ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ও পরস্পর যোগসাজশে বাদীর জাল স্বাক্ষর ও অন্যান্য জাল ডকুমেন্টস দিয়ে বিভিন্ন তারিখে ৪ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। এ টাকা থেকে কোন খাতে কত ব্যয় করা হয়েছে সেই সংক্রান্ত হিসাবও দিতে পারিনি মামা মিঠু। এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ রাঙ্গুনিয়া থানায় ভাগনি সেলিনা আক্তার মামা মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।