ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরে কোকেন জব্দের দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
বন্দরে কোকেন জব্দের দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ  প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক ও চোরাচালানের দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন আদালত।  

বুধবার (৩০ অক্টোবর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক একেএম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক ও চোরাচালানের দুই মামলায় ৩১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

আজ (বুধবার) আদালতে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়েছে। আগামী (১৯ নভেম্বর) আসামিদের ৩৪২ ধারায় পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৭ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটকের পর সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আসামি নূর মোহাম্মদকে বাদ দিয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মাদক আইনের অংশের অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান। একই বছর ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি হয়। প্রধান আসামিকে বাদ দেওয়ায় ওই সময় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেননি আদালত। আদালত অভিযোগপত্র প্রত্যাখান করে তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাব-৭ কে দায়িত্ব দেন। এরপর আদালত ওই মামলায় চোরাচালানের ধারা সংযুক্তির নির্দেশ দেন। ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল মাদক আইনের মামলায় নূর মোহাম্মদকে অভিযুক্ত করে চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন র‌্যাব কর্মকর্তা তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এর আগে এ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এরপর ওই বছরের ১৯ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত প্রথম দফায় চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।  ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি চোরাচালান আইনের মামলায় দশ আসামির বিরুদ্ধে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।