ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চিকিৎসক অপহরণের মামলায় ২ আসামি কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
চিকিৎসক অপহরণের মামলায় ২ আসামি কারাগারে প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: রাউজান থানায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসককে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অপহরণের মামলায় ২ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালদত।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।

এর আগে, একই মামলার তিন আসামি 
আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। কারাগারে পাঠানো ২ আসামি হলেন, পাইওনিয়ার হাসপাতালের পরিচালক মনজুর হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জামিনপ্রাপ্ত আসামি হলেন, পাইওনিয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. ফজল করিম প্রকাশ বাবুল।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান সিদ্দিকী বাংলানিউজকে বলেন, মামলার তিন আসামি হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট
আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার (আজ) চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামি মনজুর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলমকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামি ডা. ফজল করিম প্রকাশ বাবুলকে মামলার প্রতিবেদন জমা পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।  

এদিকে, একই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাউজান থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই টোটন মজুমদার ও এসআই শাফায়েত আহমদ।  

গত ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুনের আদালতে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসককে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগে রাউজান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক চিকিৎসকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা আবেদন করা হলে গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলাটি রাউজান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল রাউজান থানার নোয়াপাড়া পথেরহাট এলাকার চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলমকে সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যান রাউজান থানার এসআই টোটন মজুমদার। চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মারধর করা হয়। এর আগে টোটন ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি চিকিৎসক জাহাঙ্গীরের কাছে। টাকা না দিলে ক্রসফায়ারে হুমকি দেন। চিকিৎসকের অপরাধ তিনি বিএনপি করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়। অভিযোগ একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার এর গাড়িচালক রাসেলের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু পরে রাসেল আদালতে হলফনামা দিয়ে জানান চিকিৎসক জাহাঙ্গীর নামের কাউকে তিনি চিনেন না। তার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি। গত ২৯ আগস্ট আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন।  

ডা. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, গত ১০ বছর মিথ্যা মামলা হওয়ার পর থেকে চেম্বারে বসে রোগী দেখতে পারেননি। পুলিশ ও অন্য আসামিরা কার নির্দেশে আমাকে মিথ্যা মামলা ফাসিয়েছিলেন, তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।