ঢাকা, শুক্রবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে নতুন কারাগার তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে: মেয়র শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
চট্টগ্রামে নতুন কারাগার তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে: মেয়র শাহাদাত কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণ

চট্টগ্রাম: কাসিমপুর কারাগারে ফুটবল খেলার মাঠ আছে দেখেছেন উল্লেখ করে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সেখানে কলা গাছ, কাঁঠাল গাছ আছে। সেগুলোর ফল কয়েদিরা খায়।

চট্টগ্রামে কারাগার সুপ্রশস্ত না হওয়ায় আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড বা মীরসরাইয়ের মতো এলাকায় কয়েদিদের জন্য খেলার মাঠ, বাগান ও পর্যাপ্ত মুক্ত জায়গা থাকবে এমন নতুন কারাগার গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেল রোডের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেপুটি জেলার ইব্রাহীমের সঞ্চালনায় এবং সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেয়র বলেন, কারাগারে কয়েদিদের অতিরিক্ত চাপ। আমি দেখেছি প্রতিটি রুমে কয়েদিদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে না। ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা হয়। এটা বড়ই অমানবিক। কয়েদিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকার জায়গা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কারণে কারাগারে চাপ আরও বেড়ে যায় ফলে বন্দীদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সংকট সৃষ্টি হয়। কারাগারে কয়েদিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এতে করে বন্দীদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। বন্দীদের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে সবকিছু। কায়েদিদের জন্য একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আত্মহত্যার অনেক ঘটনা হয়েছে। যখন একজন কয়েদি এখানে ঢুকে সে যখন হয়তোবা দোষী না এতে করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাজেই আমার মনে একজন সাইকোলজিস্ট থাকলে কয়েদিদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। কারাগারে মানসম্মত ওষুধের অভাব রয়েছে। আমি দেখেছি অনেক সময় এই নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের কারণে রোগীরা সুস্থ হচ্ছে না বরং এলার্জির মতো চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। সেজন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত, প্রতিটি বন্দিকে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবিক সেবা দেওয়া, যাতে তারা সমাজে পুনরায় ফিরে এসে একটি সুন্দর জীবন শুরু করতে পারে। আমি মনে করি, কারাগারগুলোতে শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া খুব জরুরি এবং এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত পরিবেশ, যেমন খেলাধুলার জায়গা, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং সুযোগ সুবিধা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাসুদ হাসান জুয়েল, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলাউদ্দিন আলী, আবুল বশর প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।