চট্টগ্রাম: কবি ও প্রভাষক চন্দনা ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ ‘জলের গিঁট’ ও শিক্ষিকা জোনাকি দত্তের প্রকাশিত শিশুদের গল্পের বই ‘টুনটুনির বিয়ে’ এর পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, সাহিত্য রচনা হয় নির্জনে নিভৃতে। কবি ও শিল্পীদের অব্যক্ত কথা, ব্যথা-বেদনা এবং সামাজিক ট্রমা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সাহিত্য রচনা হয়।
সম্প্রতি প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মনোজ কুমার দেব। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র শিক্ষক বিষ্ণু পাল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, কবি কবিতা রচনা করেন সমাজের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে। শিশুদের মন মানসিকতার উৎকর্ষ সাধনে শিক্ষকরাই লিখবেন, তারাই পথ দেখাবেন। তারা না লিখলে অন্যরা উৎসাহ পাবেন কিভাবে? কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, গল্পকার শিল্পী কিভাবে সৃষ্টি হবে?
আলোচক ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর রীতা দত্ত, আদিবাসী সাহিত্য-চিন্তক হাফিজ রশিদ খান, কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, আজিজ কাজল ও শেখর দেব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুষ্পিতা বৈদ্য। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী অধ্যাপক পিন্টু ঘোষ, খোকন মালাকার ও শিশু শিল্পী অয়নজয় মালাকার।
কবি চন্দনা ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ ‘জলের গিঁট’ থেকে কবিতা পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী ইকবাল হোসেন, প্রবর্তক কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কৃষ্ণ দে ও তাসকিন তাবাসসুম।
গল্পকার জোনাকি দত্তের ছোটদের গল্পের বই ‘টুনটুনির বিয়ে’ থেকে পাঠ করে শোনান প্রতিষ্ঠানের প্রভাতী শাখার শিক্ষার্থী দসাই উ মারমা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মো. নুরুল হাসান, সাংবাদিক রাজেশ চক্রবর্তী ও কমল দাশ, প্রণতি ভট্টচার্য্য, শ্যামল বৈদ্য প্রমুখ।
কাব্যগ্রন্থ ‘জলের গিঁট’ খড়িমাটি ও ছোটদের গল্প ‘টুনটুনির বিয়ে’ শৈলী প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৫
এসি/টিসি