ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ চৈত্র ১৪৩১, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৫
চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত ...

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

তবে তাৎক্ষণিক কোথাও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৩।

এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপশ্চিমে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।

একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের প্রধান উৎস দুটি। একটি উৎস ‘ডাউকি ফল্ট’ শিলং মালভূমির পাদদেশে ময়মনসিংহ-জামালগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে বিস্তৃত যা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই ফল্টের পূর্ব প্রান্তে অর্থাৎ সিলেটের জৈন্তাপুর অঞ্চলে ভূমিকম্পের আশংকা খুব বেশি। আরেকটি উৎস হচ্ছে সিলেট থেকে ত্রিপুরা হয়ে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টেকনাফ পর্যন্ত।  

টেকটনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল এই পাহাড়ি অঞ্চল যাকে ভূতাত্ত্বিক ভাষায় সাবডাকশন বলা হয়। পশ্চিমের প্লেটটি ভারতীয় প্লেট এবং পূবের পাহাড়ি অঞ্চলটি বার্মা প্লেট। ভারতীয় প্লেটটি বার্মা প্লেটের নিচে অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এই সাবডাকশন জোনে প্রতিনিয়ত শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। গত কয়েক শ বছর ধরে সেখানে প্রচুর শক্তি ইতোমধ্যে জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরে ৩ লাখ ৮২ হাজার ভবনের মধ্যে ২ লাখ ৬৭ হাজার ভবনই ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। রিখটার স্কেলে ৭.৫ বা তার চেয়ে অধিক মাত্রার ভূমিকম্প হলে শহরে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৫
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।