চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে দুইদিন আমরণ অনশন করেছেন ৯ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চবির ৫৬১ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চারুকলাকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন শিক্ষার্থীদের সামনে জরুরি সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরেন।
সিদ্ধান্তগুলো হলো:
চারুকলা ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম মূল ক্যাম্পাসে চালু করা হবে। নগরে অবস্থিত চারুকলার স্থাপনাসমূহ ইনস্টিটিউটের ছাত্রাবাসের কাজে ব্যবহৃত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নতুন চারটি বিভাগ নিয়ে চারুকলা অনুষদ চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম নগরে অবস্থিত চারুকলা ইনস্টিটিউটের সকল সম্পদের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। চারুকলা ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি দখল বা বেদখলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বা প্রাক্তন কোনো শিক্ষার্থী বা যেকোনো পক্ষ সম্পৃক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চারুকলা ইনস্টিটিউটের সম্পত্তির বিষয়ে সরকারি গ্যাজেট বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের বিষয়ে অপব্যাখ্যা, মনগড়া তথ্য প্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত অবস্থা থেকে আড়ালে রাখার বিষয়ে যে বা যারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সিদ্ধান্ত কার্যকরের নির্দিষ্ট সময় বলতে না পারায় শিক্ষার্থীরা অনশন না ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নেন। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত দেড়টার দিকে প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত। ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা সহযোগিতা করলে পুরাতন কলা অনুষদ ভবনে চারুকলার একাডেমিক কার্যক্রম যেকোনো সময় শুরু করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
এমএ/টিসি