ঢাকা, শুক্রবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই!

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
দিল্লি প্রেসক্লাবে সাবসিডি নেই! ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দিল্লি থেকে: প্রেসক্লাবতো স্রেফই ক্লাব, ঢাকা হোক কি দিল্লি। এখানে দিনভর খাটুনি খাটা সাংবাদিকরা কাজের ফাঁকে বসে আড্ডা দেবেন, সময় কাটাবেন, তৈরি হবেন নতুন করে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পড়ার জন্য।



আড্ডার মধ্যে থেকেই উঠে আসবে নতুন নতুন খবরের আইডিয়া। প্রেস ক্লাবে বাঘা বাঘা সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন অপেক্ষাকৃত জুনিয়রদের কাছে। ক্লাবিংয়ের মাধ্যমে তারা তৈরি হবেন ভবিষ্যতের জন্য। খাবার খেতে খেতে হবে নিউজ নিয়ে আলোচনা।

ঠিক তেমনই একটি পরিবেশ দেখা গেলো দিল্লি প্রেসক্লাবে। জয়ন্ত রায় চৌধুরী, দ্য টেলিগ্রাফের দিল্লি ব্যুরো প্রধান। তারই আমন্ত্রণে অতিথি হলাম দিল্লি প্রেসক্লাবে। একটা কথা বলে রাখি, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ১৮ বছরের পেশাদারী জীবনে এ পর্যন্ত কারো আমন্ত্রিত হয়ে মূল ক্যান্টিনে বসে খাবার খেতে পারিনি, ওখানে নাকি অ-মেম্বারদের ঢুকতে মানা আছে।

যে দু’চারজন বন্ধু বার কয়েক প্রেসক্লাবের সস্তায় সু-স্বাদু খাবারের স্বাদ দিয়েছেন তারা বাইরে কোনো রুমে বসিয়ে আপ্যায়ন করেছেন, তাদের আন্তরিকতার কমতি ছিলোনা, নিয়মের কারণে জাতীয় প্রেসক্লাবের মূল ক্যান্টিন এখনো দেখার সুযোগ হয়নি। তবে তার আগেই দেখে নিলাম দিল্লি প্রেসক্লাবের ক্যান্টিন। যা মূলত সাংবাদিকদের আড্ডাখানা।
 
ঢুকতেই দেখি, বাম দিকে বসে হিন্দুস্তান টাইমসের সাবেক ব্যুরো প্রধান এক সময়ের বাঘা ক্রাইম রিপোর্টার এআর উইগ, যিনি একসময় এই প্রেসক্লাবের চেয়ারম্যান ছিলেন, বসে আছেন বিখ্যাত কলাম লেখক হিরন্ময় কার্লেকার, হিন্দুস্তান টাইমের প্রাক্তণ সম্পাদক ভারত ভূষণ, হিন্দুর স্ট্র্যাটেজিক এডিটর সন্দীপ দীক্ষিত। আমাদের টেবিলে একই সঙ্গে বসলেন বিজনেস ওয়ার্ল্ডের কন্ট্রিবিউটিং এডিটর নিনাদ শেঠ।
 
বিভিন্ন ধরনের খাওয়া দাওয়া হলো- নিম্বু পানি দিয়ে শুরু করে দইয়ে শেষ। খাবার শেষে জয়ন্ত রায় চৌধুরীর কাছে যে বিল এলো তাতে চোখ চড়ক গাছ। এতো বিল! মনে মনে নিজেকে প্রশ্ন করলাম। প্রকাশ্যে না জানতে চেয়ে পারলাম না, দাদা আপনাদের প্রেসক্লাবে কি সাবসিডাইজড খাবার না!? দাদার পাল্টা প্রশ্ন সাবসিডাইজড হবে কেনো? এর উত্তর আর আমার জানা নেই। আমাদের প্রেসক্লাবে সাবসিডাইজড খাবার আছে- কেনো আছে তাতো জানি না। আস্তে করে চেপে গেলাম, জানালাম না, ঢাকায় প্রেসক্লাবে ৫০ পয়সায় পুরি আর ৮/১০ টাকায় ভাত খাওয়া যায়। যার বাইরে দাম অন্তত ১০ গুণ বেশি।
 
জয়ন্ত রায় চৌধুরীই কথা বাড়ালেন, ফ্রেস খাবারটি খেতে পারছি, এখানে সবাই মিলে আড্ডা দিতে পারছি, কোথাও থেকে কোনও বন্ধু এলে ডেকে এনে আপ্যায়ণ করতে পারছি সেটাই যথেষ্ট নয় কি?

নিনাদ শেঠের সঙ্গে জয়ন্ত রায়ের কথা-বার্তার মধ্যে বেশিরভাগটিই ছিলো কি ধরনের রিপোর্ট করা যায় তা নিয়ে। ঢাকা থেকে এসেছি বলে আমাকেও কিছু রিপোর্টের আইডিয়া দিলেন, বিশেষ করে গুজরাটে কি ধরনের কাজ করা যায়, ইত্যাদি।

হ্যা এর ফাঁকে বিরিয়ানির স্বাদ, মটর পনিরের খ্যাতি এসব নিয়েও কম কথা হলো না।

দিল্লির এই প্রেসক্লাব দিল্লির সাংবাদিক সমাজের জন্যই। চার ক্যাটাগরিতে সাত শতাধিক সদস্য রয়েছেন এই ক্লাবে। সবাই হয় সাংবাদিক, কলামিস্ট, নয় লেখক।

নয়াদিল্লির এই ক্লাবের রয়েছে নিজস্ব কনফারেন্স সেন্টার, সেখান থেকে আসে এর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়। আর রয়েছে নিয়মিত চাঁদা। শত বছরের পুরোনো ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, বললেন জয়ন্ত রায় চৌধুরী।

** দিল্লির রাতে সস্তা দোকানিরা...

** মাকরানার হোয়াইট মার্বেলেই অনিন্দ্য তাজমহল

** দিল্লির আশীর্বাদ দিল্লি মেট্রো,ঢাকা মেট্রো কবে

** অ্যারাভেলি পর্বতে ঘেরা ভ্রাতৃত্ব

** ৩৬ ঘণ্টার বিচিত্র রূপ!

** ইন্টারনেটে বাংলাদেশ এগিয়ে
** সেই তো আমরাই!
** লাইফলাইন অব ইন্ডিয়া
** দিল্লি কত দূর?
** ভারতীয় ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশের মর্যাদা
** গ্রীনলাইনে ভুগতে ভুগতে কলকাতা

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।