ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বর্ধমান বিস্ফোরণ

বাটলা হাউজ ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্রের অনুমান গোয়েন্দাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪
বাটলা হাউজ ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্রের অনুমান গোয়েন্দাদের ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: বর্ধমান বিস্ফোরণের প্রাথমিক তদন্ত শেষ করেছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিকেটিং এজেন্সি (এনআইএ)। দিল্লির উল্লেখযোগ্য বাটলা হাউজ ঘটনার সঙ্গে বর্ধমান বিস্ফোরণের যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।



সম্প্রতি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস) নেতা আল বাগদাদি তার প্রকাশিত ভিডিওতে বাটলা হাউজের প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির জামিয়া নগরে বাটলা হাউজ এনকাউন্টাররের ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আতিফ আমিন ও মহ. সাজিদ নামে দুই জঙ্গি নিহত হন। এছাড়াও, মহ. সায়েফ ও জিসান নামে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

এ ঘটনার মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ্যে আসে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (আইএম) এর নাম। বাটলা হাউজ অভিযানে দিল্লি পুলিশের আধিকারিক মোহন চাঁদ শর্মা নিহত হন।

এনআইএ মনে করছে, যেভাবে বাটলা হাউজ এনকাউন্টার আইএম-এর অস্তিত্ব প্রকাশ্যে এনে দিয়েছিল, সেভাবে বর্ধমান বিস্ফোরণ ঘটনায় জেএমবি’র সংশ্লিষ্টতা সামনে নিয়ে এসেছে।

বাটলা হাউস এনকাউন্টারে নিহত হন দিল্লি বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারী আতিফ আমিন। একইভাবে বর্ধমান বিস্ফোরণের মূল ষড়যন্ত্রকারী সাকিল গাজী ও সুভান মণ্ডল ওরফে করিম নিহত হন।

পাশাপাশি, বাটলা হাউস ঘটনায় জীবন্ত গ্রেফতার হয়েছিলেন আতিফের দুই সঙ্গী।

বর্ধমান বিস্ফোরণেও জীবন্ত গ্রেফতার হয়েছেন রাজিয়া, আলিমা ও আবুল হাকিম।

সূত্র জানায়, বাটলা হাউজ এনকাউন্টারের পর ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের ‘আজমগড় প্রকল্প’ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন জঙ্গি নেতা আমির রেজা খান। সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ আসে রিয়াজ, ইকবাল ভাটকাল ও ইয়াসিন ভাটকালের হাতে।

কিন্তু আফগানিস্তানে জিহাদে অংশ নেওয়া নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয় তাদের মধ্যে। রিয়াজ ও ইকবালের মত থাকলেও, আফগানিস্তানে যোগ দিতে ইয়াসিন একমত ছিলেন না। এর ফলে মতাদর্শগত কারণে ভাঙন ধরে আইএম-এ।

এর পরে ‘দ্বারভাঙা প্রকল্প’ তৈরি করেন ইয়াসিন ভাটকল। এর উপর উপর ভিত্তি করেই ভারতে ২০১০ সালে জার্মান বেকারি বিস্ফোরণ ঘটা তিনি। এ ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হন। এর মধ্যে বিদেশি নাগরিকরাও ছিলেন।

আইএনএ আরও মনে করছে, বর্ধমান ঘটনায় জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ থাকতে পারে আইএস’র মদদপুষ্ট আনসার-উল-তৌহিদ-এর।

অভিজ্ঞ মহলের অনুমান, ইয়াসিন ভাটকল গ্রেফতার হওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। পরে ইয়াসিনের সমর্থকরা আনসার-উল-তৌহিদ নামে নতুন সংগঠন গড়ে।

মহলের আরও অনুমান, আইএস এশিয়াতেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে।

এর প্রমাণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি পাকিস্তানের তালিবানদের সাবেক মুখপাত্র সাহিদুল্লাহ সাহিদ আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা আইএস’র জন্য গর্বিত। যদিও তালিবানদের তরফ থেকে পরবর্তীতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।