ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন:

ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে খরচের হিসাব দিতে প্রার্থীকে ইসির নির্দেশ

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

কলকাতা থেকে:  পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যেই প্রার্থীদের খরচের হিসাব জমা দিতে হবে বলে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার ষষ্ঠ ও শেষ দফার নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গের যুগ্ম নির্বাচন কর্মকর্তা দিব্যেন্দু সরকার কলকাতায় নির্বাচন কমিশন দপ্তরে বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।



রাজ্যের এবারের ভোটে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য ১৬ লাখ রুপির বেশ টাকা খরচ করতে পারবেন না বলে কমিশন নির্ধারণ করে দিয়েছে।

রাজ্যের যুগ্ম নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কমিশনের বেঁধে দেওয়া খরচের হিসাবের সঙ্গে প্রার্থীদের খরচ মিলিয়ে দেখা হবে। ’

দিব্যেন্দু সরকার বলেন, ‘১৩ মে ফল ঘোষণার দিনই এ ব্যাপারে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রার্থী যেই জিতুক না কেন, সবাইকে খরচের হিসাব দিতে হবে। তদন্তে বেশি খরচের তথ্য প্রমাণিত হলে জয়ী প্রার্থীরও প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। ’

পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির কয়েকজন নেতা-নেত্রী নির্বাচনী প্রচারণায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছেন। যদিও ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টের কোনো প্রার্থী হেলিকপ্টার ব্যবহার করেননি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়।  

কমিশন সূত্র জানায়, প্রার্থীদের মধ্যে নয়জন কোটিপতিও রয়েছেন। আয়কর দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়ির কংগ্রেস প্রার্থী সুখবিলাস বর্মা সবচেয়ে ধনী প্রার্থী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দুই কোটি ২১ লাখ রুপি।

পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী দার্জিলিং জেলার মাটিগড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত অসীম সরকার। তার কোনো সম্পদ নেই।

নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচের বেঁধে দেওয়ার একটি হিসাব দিলেন রাজ্যের প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা সুনীল কুমার গুপ্তা।

মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে তার দপ্তরে বাংলানিউজকে বলেন, ‘নির্বাচনে জেলা ও এলাকাভিত্তিক প্রার্থীরা কত খরচ করতে পারবেন তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের প্রতিটি প্রার্থীর নাস্তা, চা, আর খাবারে জন্য কী পরিমাণ খরচ করতে পারবেন তাও নির্ধারণ করে দেয় কমিশন। ’

এবারের নির্বাচনের জন্য রাজ্যে গড়ে প্রতি কাপ চা ৩ রুপি, নাস্তা ২০ রুপি, দুপুরের খাবার ২৫ রুপি থেকে ২০০ রুপি, চেয়ার ভাড়া প্রতিদিন ৭ রুপি, অটো রিকশার প্রচারের জন্য প্রতিদিন ভাড়া ৩৫০ রুপি।

লুচি, আলুরদম, লাড্ডু, কলা, ডিমের সমন্বয়ে তৈরি প্যাকেট খাবারের দাম ৩০ রুপি। আবার ডাল, ভাত, মাছের ঝোল ও সবজি দিয়ে তৈরি প্যাকেট খাবারের দাম ৪৫ রুপি। ফ্রায়েড রাইস ও মুরগির প্যাকেট ধরা হয়েছে ৫৫ রুপি করে। বিরিয়ানির প্যাকেট ৬০ রুপি। রুটি,মাংস, ফিসফ্রাই ও সন্দেশ ৫০ রুপি থেকে ১০৫ রুপি পর্যন্ত দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, শুধু খাবার নয়, নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের খরচেরই পূর্ব নির্ধারিত হিসাব রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনে ২৯৪ আসনে ধারাবাহিকভাবে ৬ দফায় নির্বাচন হল। সর্বশেষ মঙ্গলবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৮ এপ্রিল প্রথমদিন নির্বাচন হয়।

শুক্রবার দুপুরের মধ্যেই নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।