ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

৭১ এ হতে পারতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
৭১ এ হতে পারতো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা

কলকাতা: ভারতীয় সেনাবাহিনীর তথ্য সংক্রান্ত পত্রিকা ‘ডিফেন্স নিউজ’ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সাহায্যে ব্রিটেন-আমেরিকার আক্রমণ রুখে দিয়েছিল ভারত।

রাশিয়ার গোয়েন্দাদের ইন্টারসেপ্ট করা ১৯৭১ সালের  ডিসেম্বর মাসের কয়েকটি বার্তা প্রকাশ করে ডিফেন্স নিউজ জানাচ্ছে, সে সময় পাকিস্তানকে সাহায্য করার জন্য এক যোগে ভারতের উপর আক্রমণ চালাবার পরিকল্পনা করেছিল আমেরিকা এবং ব্রিটেন।



১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর আমেরিকান সময় সকাল ১০.৪৫ নাগাল টেলিফোনে কথা বলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং স্টেট সেক্রেটারি হেনরি কিসিঞ্জার।

ঠিক এর কয়েক ঘণ্টা আগেই আগেই পাকিস্তান ভারতের ৬টি বিমান  ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ওই দিন রিচার্ড নিক্সন টেলিফোনে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে অশ্লীল শব্দের প্রয়োগ করে বলেন ভারত যদি ‘পূর্ব পাকিস্তানে’ হামলা করে সেটা হবে রাশিয়ার ফিনল্যান্ডের উপর আক্রমণের সমান।

ডিফেন্স নিউজ জানাচ্ছে ,এর ঠিক সাত দিন বাদে ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১, সকাল ১০.৫১ মিনিটে এই বিষয় নিয়ে আবার কথা বলেন রিচার্ড নিক্সন এবং কিসিঞ্জার। এইদিন নিক্সন পরিষ্কার জানান যে তিনি পাকিস্তানের পাশে আছেন।

তিনি জানান জর্ডানের ২৬টি প্লেন পাকিস্তানকে সাহায্য করতে তৈরি। এছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের উপর আক্রমণের কথা নিয়ে আলোচনা চলে বলে জানান রিচার্ড নিক্সন। এমনকি পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়ে চীনকেও ভারতের বিরুদ্ধে হুমকি দেবার অনুরোধ জানানোর কথা তিনি কিসিঞ্জারকে বলেন। এছাড়া ফ্রান্সকেও ভারতের বিপক্ষে হামলা চালানোর বিষয়ে যোগ করার পরিকল্পনা করা হয়। এ সময় কিসিঞ্জার রিচার্ড নিক্সনকে জানান, রাশিয়া ভারতকে সাহায্য করছে।

১০ ডিসেম্বরেই সোভিয়েত গোয়েন্দাদের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানতে পারে ৭৫ হাজার টনের পারমাণবিক রণতরীসহ মার্কিন নৌবাহিনীর সেভেনথ ফ্লিট টংকিন উপসাগরে অপেক্ষা করছে। এতে ছিল ৭০টি যুদ্ধ বিমান বহন করার ক্ষমতা। এই সময় ভারতের জলসীমার গা ঘেঁষে দাঁড়ায় ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একটি অংশ।

এই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নকে ভারতের তরফে বার্তা পাঠানো হয়। ইন্দিরা গান্ধীর বার্তা পেয়ে আমেরিকান ও ব্রিটিশ রণতরীর ঠিক মুখোমুখি দাঁড়ায় রাশিয়ার রণতরী। এদিকে তখন পাকিস্তানের সেনারা মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হতে চলেছে। ফলে পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বুঝে সরে যায় আমেরিকান-ব্রিটিশ নৌ সেনা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ডিফেন্স নিউজ’।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ১৬,২০১৫
ভি.এস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।