ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘আমি সীমানায় বিশ্বাসী নই’

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
‘আমি সীমানায় বিশ্বাসী নই’ প্রবীণ চন্দ্র ভাঞ্জ দেও

ভুবনেশ্বর থেকে: ‘বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে যোগাযোগ সর্ম্পকিত সমস্যাগুলোর সমাধানের শুরুটা হবে এখান থেকেই। ’ -চার দেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠেয় ফ্রেন্ডশিপ মোটর র‌্যালি সর্ম্পকে এমন ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ করেছেন আয়োজক কলিঙ্গ মোটর স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি প্রবীণ চন্দ্র ভাঞ্জ দেও।


 
মোটর স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি ছাড়াও ভুবনেশ্বরের একজন মেম্বার অব লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলিও তিনি।
 
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাতের খাবারের নিমন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পরিচিত হন প্রবীণ চন্দ্র ভাঞ্জ দেও।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিবিআইএন মোটর র‌্যালি শুধুই র‌্যালি নয়, বরং দেশগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক বন্ধনকে আরও ‍শক্ত করবে। পথ চলতে চলতেই অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
 
প্রবীণ বলেন, এখনও এ অঞ্চলে সীমানা পারাপার নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। আমাদের এই ৪ হাজার ২২৩ কিলোমিটারের পথ চলায় সেগুলো অনেকটাই ধুয়ে যাবে।
 
ভারতে প্রবেশে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয় – এ প্রসঙ্গে প্রবীণ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি সীমানায় বিশ্বাসী নই। আমরা যখন পৃথিবীকে একটি গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, সেখানে সীমানা অযৌক্তিক।
 
তবে এই মোটর র‌্যালির মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ভিসাজনিত সমস্যাগুলোও আর থাকবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন বৈশ্বিক ধারণা লালনকারী প্রবীণ চন্দ্র।
 
তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে আমরা সেখানকার নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবো। জটিলতাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সমাধানের পথও নিশ্চয়ই বের করা যাবে।  
 
‘ভারত বাংলাদেশের সীমানা পারাপারের বিষয়টি আরো সহজতর করার বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। ’- যোগ করেন তিনি।
 
গাড়ি চালনোর প্রতি দুর্বলতা থেকেই ৮ বছর আগে কলিঙ্গ মোটর স্পোর্টস ক্লাবের যাত্রা শুরু করেন প্রবীণ। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। তবে প্রতিযোগিতামূলক আয়োজনের চাইতে এ ধরনের আন্তর্জাতিক আয়োজনেই বেশি মনোযোগী তার ক্লাব।
 
ক্লাব প্রসঙ্গে  প্রবীণ বলেন, ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে মোটর ক্লাব থাকলেও ওড়িষ্যাতে ছিল না। অথচ এ অঞ্চলে বেশ ভালো রাইডাররা রয়েছেন। তখন থেকেই মোটর স্পোটিং ক্লাবের ভাবনা।
 
২০০৬ সালে আসাম থেকে যাত্রা করে সিঙ্গাপুরে নিজেই গাড়ি চালিয়ে গেছেন। পাঞ্চাশোর্ধ প্রবীণ বিবিআইএন এর র‌্যালির ৪ হাজার ২২৩ কিলোমিটারের পুরোটা পথই চলবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৫
এমএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।