ইয়াকের দেখা মিললো উরা উপত্যকায়

ভুমতাং, ভুটান থেকে: বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মৈত্রী র‌্যালিটি ভুমতাংয়ের উরা উপত্যকায় শিংখার গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা মিললো ইয়াকের (চরমিগাই)। দেখতে গরুর মতো, দু-একটির শিং বেশ লম্বা।

শরীরে লম্বা লোমের আধিক্য, আর দেখে ভয়ঙ্কর মনে হলেও স্বভাবে তেমনটা নয়।

র‌্যালির গাড়িকে থোড়াই কেয়ার করে রাস্তার মাঝখান দিয়েই এগিয়ে গেল কয়েকটি ইয়াক। এদের বেশ শান্তই মনে হলো। সবুজে ঘেরা বিস্তৃত উরা উপত্যকা। সেখানে চড়ে বেড়াচ্ছে এই প্রাণী।

ভুটান ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা থিংসলে বাংলানিউজকে বলেন, ভুমতাংয়ের দু’টি পর্বতের উপত্যকায় দেখা মেলে ইয়াকের। এরা তীব্র শীতেও নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। তবে ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।

শিংখার গ্রাম ইয়াকের পালনের জন্য বিখ্যাত। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা ইয়াকের দুগ্ধজাত পণ্য ঘিরেই। তবে ১৯৯০ সালে এখানে রাস্তা তৈরি হওয়ার পর গ্রামের মানুষ আলু চাষে মনোযোগী হন আর কমিয়ে দেন ইয়াকের ওপর নির্ভরশীলতা।

এই পাহাড়ি এলাকার দেশে সমতলের দেখা মেলা ভার। তবে শিংখার একশ’ একরের সবুজ উপত্যকা, তাই এখানেই বিচরণ করে বিপন্ন সব প্রাণীরা। তবে এখন শিংখার ছাড়ছে ইয়াকরাও। কারণ, এ সমতলে ঘর তৈরি করছেন গ্রামবাসী। ধীরে ধীরে বাড়ছে বসতি।

গ্রামের বাসিন্দা রিম্পুই বলেন, এখানকার জীবন ইয়াক পালনকে ঘিরে। গরমকালে তাদের পাহাড়ের ওপর নিয়ে যেতে হয়। আমরা ইয়াকের পাল ছাড়া জীবন ভাবতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, ইয়াক পালনই আমার সংসারকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমার সন্তানদের শিক্ষিত করতে পেরেছি। তবে উরা ভ্যালিতে ইয়াকের প্রজননের সময় বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। কারণ, নারী ইয়াকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।