ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জানুয়ারি-অক্টোবর

ভারতে পর্যটক যাত্রায় প্রথম বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
ভারতে পর্যটক যাত্রায় প্রথম বাংলাদেশ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

কলকাতা: ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে দেখা যাচ্ছে, এ বছর ভারতে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে আছে বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে ৬.২৮ মিলিয়ন পর্যটক ভারতে গেছেন।

এর মধ্যে ১৪.৬৪ শতাংশ বাংলাদেশি।

ভারতে প্রবেশ করা পর্যটকের সংখ্যায় প্রথম দশ মাসের হিসেবে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যকে। দেশটির সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত আমেরিকার থেকে ১৪.৫৫ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্য থেকে ১০.৭৫ শতাংশ পর্যটক ভারতে ভ্রমণ করেছেন।

২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী আমেরিকা থেকে সর্বাধিক সংখ্যক পর্যটক ভারতে এসেছিলেন। শতাংশের হিসেবে যা ছিল ১৪.৫৭। তারপরেই ছিল বাংলাদেশের অবস্থান ১২.২৭ শতাংশ। ২০১৪ সালে হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভারতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ছিল ১০. ৯২ শতাংশ।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে যে, ২০১৫ সালের প্রথম দশ মাসের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে প্রায় আড়াই শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা পর্যটকদের এই সংখ্যা বৃদ্ধি কিছুটা অবাক করেছে।

মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসা, ভ্রমণ ছাড়াও ব্যবসার কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা-যাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই  বেড়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, চলতি আর্থিক বছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ২৮ শতাংশ। যা ডলারের হিসেবে দাঁড়ায় ৬২১ মিলিয়ন ।

বাংলাদেশ থেকে ভারত আমদানি করেছে কাপড়, পোশাক, মাছ, ফলসহ বিভিন্ন পণ্য। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ পর্যটক বাসে চড়ে ভারতে এসেছেন। চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক প্রবেশ করেছেন এমন চেকপোস্টগুলোর মধ্যে তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্থানে আছে হরিদাসপুর বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে ব্যবসা এবং চিকিৎসার কারণে ভারতে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি।

মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশে গিয়ে ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২২ দফা চুক্তি স্বাক্ষর, দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতের  উন্নতি, নেপাল-ভুটান বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গাড়ি চলাচল চুক্তি এর অন্যতম কারণ।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেওয়া  বাংলাদেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ, বাণিজ্য সম্প্রসারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারে প্রচেষ্টা এবং এর সঙ্গে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দুই বাংলাকে আরও নিবিড় করার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের অক্লান্ত প্রচেষ্টা অন্যতম কারণ।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি করে বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের ওপর জোর দিয়েছেন। আশা করাই যায়, আগামী দিনগুলোতে এ ইতিবাচক পদক্ষেপগুলোর কারণেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৫
ভিএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।