ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

খার্চি মেলায় এলে অতীত ভেসে উঠে চোখে

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
খার্চি মেলায় এলে অতীত ভেসে উঠে চোখে

আগরতলা: ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে চলছে ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও মেলা।

সাতদিন ব্যাপী এ মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে।

আগরতলাসহ রাজ্যের প্রতিটি জেলা এমনকি আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকেও মানুষ আসছেন এ মেলায়।

দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই খোলা রয়েছে চতুর্দশ দেবতা মন্দির। পূণ্যার্থীরা মন্দিরে পূজা দিচ্ছেন । সেই সঙ্গে মেলায় খাবার-দাবারের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের সামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

রাজ্যের ধলাই জেলার কমলপুর থেকে আগত গৃহবধূ সুপর্ণা দেব মন্দিরের পূজার লাইনে দাঁড়িয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এ মেলায় এলে একদিকে যেমন পূজা দিয়ে পুণ্য অর্জনের আকাঙ্ক্ষা থাকে, তেমনি মেলায় এলে অনেক পুরনো বন্ধুসহ পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। প্রতি বছর না এলেও বেশিরভাগ বছরেই আসা হয় বলেও জানান সুপর্ণা দেব।
অপর দিকে, প্রৌঢ় দীনেশ সাহা বলেন, সেই ছোট বেলায় কবে থেকে বড়দের হাত ধরে এই মেলায় আসা শুরু হয়েছে তা এখনো চলছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেলার পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে তবে মানুষের মধ্যে প্রাণের আবেগ কমে যাচ্ছে বলে মত ব্যক্ত করেন।
তবে যতদিন বেঁচে থাকবেন প্রতি বছরই মেলায় আসবেন বলে জানান। এখানে এলে চোখের সামনে অতীতের দিনগুলি ভেসে উঠে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, মেলাকে ঘিরে এ বছর দোকানিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বলছেন, মেলায় প্রতিদিন লাখে লাখে লোক আসছেন, তারা দোকানেও ভিড় করছেন তবে এদের বেশিরভাগই দর্শক, ক্রেতা নন। তাই এ বছর বিক্রি-বাট্টা খুব খারাপ। এ বছর মেলায় আসার খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়বে।

আবার, মেলায় কিছু কিছু লোকের মুখে চওড়া হাসি! তারা বলছেন, মেলা ভালই জমেছে। ক্রেতারা যে পরিমাণ সামগ্রী কিনছেন তাতে তারা খুশী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
এসআরএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।