ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কলকাতায় সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ বইমেলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
কলকাতায় সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ বইমেলা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: সীমাহীন বন্ধুত্বের কথা দিয়ে শুরু হওয়া ষষ্ঠ বাংলাদেশ বইমেলার শেষ দিনটি ছিল শনিবার (১০ই অগাস্ট)। মেলায় চোখে পড়ার মত ছিল পাঠক এবং উৎসাহীদের ভিড়।

স্টলগুলোতে  ভিড়ই বলে দিচ্ছিল যেন বাংলাদেশের বইয়ের প্রতি কলকাতার মানুষদের উৎসাহ।

শেষ দিনে বিষাদের একটা সুর ছিল মেলায়। কিন্তু এই বিষাদের সুরের মধ্যেও ছিল সফলতার ছন্দ। আর সেই ছন্দের প্রমাণ দিচ্ছিল মেলা ভাঙার আগের মুহূর্তে বইয়ের তাকগুলো, যেগুলো প্রথম দিন ছিল পরিপূর্ণ। শেষ বেলায় বেশিরভাগ তাকই ছিল ফাঁকা।

কেউ সংগ্রহ করেছেন একটি বা দু’টি বই, আবার কেউ কিনেছেন বেশ কিছু বই। কোনো পাঠকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। কারও আবার পছন্দ কবিতা। কেউ বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়তে উৎসাহী। কেউবা বাঙলা ভাষার ব্যাকরণ।

এমনই এক পাঠিকা শিউলি পাল। যিনি সপরিবারের কলকাতার পার্শ্ববর্তী  হাওড়া থেকে এসেছেন। এই গৃহবধূ বেশ কয়েকটি বই কিনেছেন। বইগুলো নিয়ে তিনি আপ্লুত। আলাপের ফাঁকে তিনি খুললেন তার  সংগৃহীত বইয়ের ঝুলি।  

প্রথমেই বেরিয়ে এলো ‘অন্য প্রকাশ’ থেকে কেনা ‘১০০টি দেশি মাছের রান্না’। পরেরটিও একটি রান্নার বই, নুরুন নাহার চৌধুরীর লেখা ‘সকাল বিকেলের রকমারি নাস্তা’। আর কী কিনেছেন, বলতেই কিছুটা লাজুক হেসে জানালেন, তৃতীয়টিও রান্নার বই। ঝুলি থেকে বেরিয়ে এলো সোমা সাহা এবং সৌমেন কুমার সাহার লেখা ‘বাদশাহি রান্না’ এবং শেষ বইটি শওকত ওসমানের লেখা ‘মৎসান্ন’।

উত্তর কলকাতা থেকে তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন অনুপ রায়। বাঙলা ভাষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। তার সংগ্রহে একটি বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বই। সঙ্গে রয়েছে তার প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতার সংগ্রহ ও হুমায়ূন আহমেদের বই।

এভাবেই এক বাংলার বই পৌঁছে যাচ্ছিল আরেক বাংলার ঘরে ঘরে। আর এখানেই বাংলাদেশ বইমেলার সফলতা। এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল বইমেলার মূল মঞ্চ থেকে।

সমাপনী দিনে বইমেলার মূল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশনার জকি আহাদ, ‘দেজ’ প্রকাশনীর কর্ণধার তথা কলকাতা বইমেলার সংগঠক সুধাংশু দে, পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, উপ-হাই কমিশনের এইচওসি মিঞা মহম্মদ মইনুল কবির, ভাষা ও চেতনার সাধারণ সম্পাদক ইমানুল হক, উপ-হাই কমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য)  মহম্মদ সইফুল ইসলাম।  

সমাপনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর প্রতিবারের মতো ভাষা ও চেতনার সাধারণ সম্পাদক ইমানুল হকের নেতৃত্বে মোমবাতি মিছিলের মধ্যে দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এই মোমবাতি মিছিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় মেলা প্রাঙ্গণের সাধারণ মানুষ। মিছিলটি হয় রবীন্দ্রসদনকে কেন্দ্র করে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।