ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দ্রুত ভোট চাইছেন মমতা, না হলে কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২১
দ্রুত ভোট চাইছেন মমতা, না হলে কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন?

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তিনি পরাজিত হয়েছেন। তবে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের পুনর্গণনার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) তার শুনানি ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে গেছে।

নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের নির্বাচনী লড়াইতে নামতেই হবে। নিয়ম মতো শপথ নেওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। তবেই মমতা মুখ্যমন্ত্রী আসনটি ধরে রাখতে পারবেন।

পাশাপাশি রাজ্যে আরও ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন বাকি। তবে চলমান মহামারি পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন না চাইলে এখনই আর কোনো নির্বাচন হবে না। ফলে উপনির্বাচন না হলেই বা কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে।

একইভাবে উপ-নির্বাচন নিয়ে একপ্রকার সংশয় প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর প্রায় দুই মাস হতে চলল। বাকি আছে আর চার মাস। এখনও উপ-নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি কথাও খরচ করেননি।  

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে যখন ৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল তখন রাজ্যে দৈনিক করোনা শনাক্ত ছিল ৩৩ শতাংশ। এখনতো ২ শতাংশের চলে এসেছে। তাহলে উপনির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কোনো কথা বলছে না কেন? ভোট করতে খুব বেশিদিন সময় লাগবে না আমাদের। সাতটা দিন সময় সময় পেলেই হবে।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন করাতেই হবে। করোনা পরিস্থিতি কারণে সম্ভবত নভেম্বরে উপনির্বাচন হতে পারে। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন না হয় সেক্ষেত্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারানোর কিছু নেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেই আবার ওই পদে শপথ নিতে পারবেন। আবার তিনি আগামী ছয় মাসের জন্য সেই পদ বহাল রাখতে পারবেন। যতদিন উপনির্বাচন না হয় ততদিন এইভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে।

তবে ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা মন্ত্রীপদে শপথ নিয়েছে অথচ ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হয়নি, এমন পরিস্থিতি এখনো ভারতে দেখা যায়নি। চলমান পরিস্থিতির জন্য যদি উপ-নির্বাচন পিছিয়ে যায় তবে এটাই হবে প্রথম ঘটনা।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪২ ঘণ্টা, মে ২৫ জুন, ২০২১
ভিএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।