ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দেশদ্রোহ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
দেশদ্রোহ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন

কলকাতা: ভারতে দেশদ্রোহ আইনের কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? কেন এই আইন এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে? থাকলেও এর যৌক্তিকতা নিয়ে ভারত সরকারের কাছে জানতে চাইলেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশদ্রোহ আইনকে ঔপনিবেশিক আইন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

এদিন শীর্ষ আদালতে একটি মামলার চলাকালীন আইনটি সম্পর্কে বিচারপতিরা জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ঔপনিবেশিক আইন, ব্রিটিশরা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা আইন প্রয়োগ করতেন। স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এই আইনে দ্বারা ইংরেজরা আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করত। মহাত্মা গান্ধী থেকে শুরু করে বাল গঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধেও এই আইনে মামলা হয়েছে। ’

সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কি এই আইনের আর কোনো প্রয়োজন রয়েছে? আমাদের মূল চিন্তার বিষয় হলো এই আইনের অপপ্রয়োগ আটকানো এবং আইনের বৈধতা আছে কী-না তা খতিয়ে দেখা। ’ 

ফলে বর্তমানে এই আইনের বৈধতা নিয়ে মোদী সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত।

বিচারকরা জানিয়েছেন, ‘আমরা জানি না সরকার কেনো এখনও এই আইন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। প্রাচীন আইন নিয়ে সরকারের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আইনের যথেচ্ছ অপব্যবহার করা হচ্ছে। এই আইনের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখা হবে। ’
 
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিনোদন জগৎ থেকে বহু সাংবাদিক, সমাজকর্মী এমনকি নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা হয়েছে। দেশদ্রোহিতা আইনের জটিলতায় অনেকের জেলও হয়েছে। সেই আইন তুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের একাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২১
ভিএস/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।