ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পদ্মা সেতুর উন্নতির ছোঁয়া লাগবে কলকাতায়ও

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
পদ্মা সেতুর উন্নতির ছোঁয়া লাগবে কলকাতায়ও

কলকাতা: বহুকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মাটিতে আজ বাস্তবায়িত। খরস্রোতা পদ্মার বুকে স্বপ্নের অবয়ব সেতুটি আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুর বাস্তবায়নে শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটবে না, একইসঙ্গে উন্নতি হবে ভারতের তথা পশ্চিমবঙ্গের।

দুই দেশের যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় আর্থিক উন্নতিও ঘটবে মমতার বাংলায়। বিশেষ করে উন্নতির ছোঁয়া লাগবে কলকাতায়ও, এমনটাই মনে করছেন শহরবাসী।

পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকা-কলকাতায় সময়ের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪ ঘণ্টা। সে কারণে, মধ্য কলকাতার মারক্যুই স্ট্রিট অঞ্চলটিতে বিশেষ আর্থিক উন্নতি ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মূলত, কলকাতায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে মারক্যুই স্ট্রিটকে চিহ্নিত করা হয়। চিকিৎসা, কেনাকাটা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে এ অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আর তা হবে নাই-বা কেন। কেনাকাটার জন্য হাতের নাগালে নিউমার্কেটসহ একাধিক শপিং মল। সামান্য দূরেই ব্যবসায়ীদের জন্য বড়বাজার। চিকিৎসার জন্য মাত্র ২০-২৫ মিনিটের দূরত্বে একাধিক সুপার স্পেশালিটিসহ নামি-দামী হাসপাতাল।

ভ্রমণকারীদের জন্য কয়েক মিনিটের দূরত্বে হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা ও সাঁতরাগাছি রেলস্টেশন। বিমানবন্দর সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট দূরত্বে। যে কারণে কলকাতার এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বাড়তি আর্থিক উন্নতির মুখ দেখে থাকেন।

মারক্যুই স্ট্রিট অঞ্চলের সম্রাট হোটেলের ম্যানেজার শেখ শাকিল বলেন, গত দুবছরে করোনার জন্য বাংলাদেশি না আসায় সবচেয়ে বেশি অভাবের মুখ দেখেছে এ অঞ্চল। মাঝে দুই বছর বাদ দিলে কলকাতায় আবার বাংলাদেশিরা আগের মতো আসতে শুরু করেছেন। পদ্মা সেতু হওয়ার সড়কে আরও সময় কম লাগবে। ফলে এখানে শুধু হোটেল মালিকরা নয়, এখানকার কর্মচারী, দোকানপাট সবার উন্নতি হবে।

স্ট্রিটের মেডিকেল এজেন্ট তপন রায় বলেন, বাংলাদেশিদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় শহর কলকাতা। চিকিৎসার জন্য বেশিরভাগ বাংলাদেশি কলকাতায় আসেন। তারা কলকাতাকে সেন্টার পয়েন্ট ব্যবহার করে মুম্বাই, চেন্নাই, কেরালা ইত্যাদি রাজ্যে চিকিৎসার জন্যও যান। পদ্মা সেতুর হওয়ায় এখন দুই বাংলায়ও উন্নতি ঘটবে।

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী শাফিন। তিনি কলকাতার বড়বাজারের ওপর নির্ভরশীল। সড়ক পথ ধরে বছরে একাধিকবার কলকাতায় আসেন। তিনি বলেন, আমার মতো বহু বাংলাদেশি কলকাতার বড়বাজারের ওপর নির্ভরশীল। পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ এবং যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায় সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে আমাদের।

এ বিষয়ে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ভিসা প্রধান মোহাম্মদ বসির উদ্দিন বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের জন্য গৌরবের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব আজ এ সেতুর বাস্তবায়ন করেছে। সেতুর কারণে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ, অর্থনীতি ও শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার হবে। পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল ব্যবস্থা চালু হলে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।