ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারকে

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
শুক্রবার ফের আদালতে তোলা হবে পিকে হালদারকে

কলকাতা : বাংলাদেশি নাগরিক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার সহযোগীদের শুক্রবার (১৫ জুলাই) আবারও কলকাতার আদালতে তোলা হবে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালতের সিবিআই-৩ নম্বর কক্ষে তাদের বিচার ব্যবস্থা চালু হবে।

গত ১৪ মে ভারতীয় কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা (ইডি) কর্তৃক গ্রেফতার হন পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা। পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগর থেকে গ্রেফতারের পর তাদের নিজেদের রিমান্ডে ইডি। পরবর্তীতে আদালতের বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ১৪ দিন অন্তর তাদের জুডিশিয়াল কাস্টডিতে রাখতে রায় দেন আদালত।

কাস্টডিতে রেখে দফায় দফায় পিকে হালদারকে জেরা করে ইডি। প্রতিবারের জেরায় নতুন নতুন তথ্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এসব তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার (১১ জুলাই) আদালতে অভিযোগ আকারে দীর্ঘ চার্জশিট জমা দেয় ইডি। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তর্গত নগর দায়রা আদালতের বিচারক কী রায় দেবেন তা জানা যাবে শুক্রবার।

এর আগে গত ৫ জুলাই পিকে হালদারসহ সবাইকে আদালতে তোলা হয়। এদিন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, তারা যে চার্জশিট জমা দেবেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রভাবশালীর নাম থাকতে পারে। এতে বাংলাদেশি কোনো প্রভাবশালীর নাম নেই।

নাম পরিচয় গোপন করে ভারতে অবস্থানরত পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করে ইডি। একটি অবৈধ অর্থ পাচারের কারণে, অন্যটি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন সংশ্লিষ্ট। ধারণা করা যাচ্ছে, ইডির চার্জশিট অনুযায়ী বিচারক সম্পূর্ণ রায় দিলেও পিকে হালদারদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সবগুলোই নিষ্পত্তিহীন থাকবে। এতে করে সহসাই তাকে বাংলাদেশে পাঠানো যাবে না। কারণে মামলার কারণে তাকে ভারতেই থাকতে হবে দীর্ঘদিন।

একটি সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, দুটি মামলায় পিকেসহ অন্যান্যদের সব বিষয় সামনে আসছে না। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের অবৈধ অর্থ নিয়ে তাদের ভারতে অবস্থান। অবৈধভাবে তারা পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছিলেন এবং তাদের সবার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের জাল নথি থাকা। অর্থাৎ ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুসারে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে এখনও মামলা দায়ের হয়নি। কিন্তু পিকে যে বাংলাদেশি, তা আদালতে প্রমাণিত। এছাড়া ভারতে বসে আরও কয়েকটি রাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ করতেন তিনি। এ ব্যাপারেও কোনো মামলা রুজু হয়নি।

এসবের কারণে ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে পিকে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলার দায়িত্ব পড়তে পারে ভারতের অন্য কোনো কেন্দ্রীয় সংস্থা বা এজেন্সি, অথবা রাজ্য পুলিশের হাতে। নতুন করে মামলা দায়েরও করা হতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে ইডির দেওয়া চার্জশিট ধরে শুক্রবার নগর দায়রা আদালত কী রায় দেন তার ওপর।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ১৪ জুলাই, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।