ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলোচনা সভায় বক্তারা

নিরাপদ-পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে ‘কৃষকের বাজার’ সম্প্রসারণ করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
নিরাপদ-পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে ‘কৃষকের বাজার’ সম্প্রসারণ করতে হবে

ঢাকা: ঢাকাবাসীকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১২টি কৃষকের বাজার চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর, সিটি কর্পোরেশন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাজারগুলো স্থায়ী করা যেতে পারে।

এই বাজারগুলো স্থায়ী ও সম্প্রসারণ করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা। এ  মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমা আকতার। সভায় আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাকিলা পারভীন, নিজামুল হক বিপুল, নিখিল চন্দ্র ভদ্র, মিজান রহমান, শাহজাহান মোল্লা, মান্ডি ডি কস্টা, আল ফাতাহ মামুন, ইয়াহিয়া নকিব ও সৈয়দ ঋয়াদ প্রমুখ।

সভায় মূল প্রবন্ধে বলা হয়, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, সিটি করপোরেশন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এই কৃষকের বাজার স্থাপনের কার্যক্রমহাতে নেওয়া হয়। এই বাজারে কৃষকরা তাদের পণ্য সরাসরি এনে ভোক্তারদের কাছে বিক্রি করেন। এতে মধ্যসত্ত্বভোগী না থাকায় সঠিক দামে পণ্য বিক্রি হয়। এই বাজারের মাধ্যমে ভোক্তারা সতেজ ও কীটনাশকমুক্ত শাক-সবজি পেয়ে থাকেন এবং কৃষকরা লাভ্যংশ পাচ্ছেন। সাভার, বিরুলিয়া, কামরাঙ্গীরচর, কেরাণীগঞ্জসহ ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গার কৃষকরা এই বাজারের বিক্রেতা। যেসব কৃষক এখানে আসেন, তারা উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।

আলোচনা সভায় আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১২টি এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বসে ২টি করে মোট ১৬টি বাজার রয়েছে। ওই সকল এলাকায় পরিচালিত জরিপে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৯৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ মানুষ এই বাজার সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। অনেকেই সপ্তাহে শুধুমাত্র একদিন নয়, প্রতিদিন যেন এই বাজার বসে সেজন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাই এই বাজরকে সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।

সভায় বক্তারা বলেন, কৃষকের বাজার ভোক্তাদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এ বিবেচনায় বাজারগুলো স্থায়ী করা প্রয়োজন। যেহেতু বাজারগুলো সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে, সেহেতু স্থানগুলো সুনির্দ্দিষ্ট করার লক্ষ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা এবং প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প দিয়ে বাজার স্থায়ী করা সম্ভব নয়। সিটি কর্পোরেশনের কাছে বাজারগুলো হস্তান্তর করা হলে আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতের মাধ্যমে বাজারগুলো সহজেই টেকসই হবে।  
বক্তারা আরো বলেন, প্রকল্প শেষ হওয়ার পরেও বাস্তবায়নকারী সংস্থা বা নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে বাজারগুলো নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। কৃষি এলাকার কাছাকাছি কৃষকের বাজারগুলো তৈরি করা হলে কৃষকগণ বেশি উপকৃত হবেন। পরিবহন কৃষকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। সমবায় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবহনের ক্ষেত্রে সমাধান নিয়ে আসা সম্ভব। এছাড়া জনগণের চাহিদা বিবেচনায় মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকেই কৃষকের বাজার স্থায়ীকরণে উদ্যোগী হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
টিএ/এমএমজেড

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।