ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোন এলাকায় জমি কেনায় কত কর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
কোন এলাকায় জমি কেনায় কত কর

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের বাজেটে জমি হস্তান্তরের কর পুনর্বিন্যাস করে নতুন করহার নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভূমি নিবন্ধন কার্যালয়ে নতুন এই করহার কার্যকর করা হয়েছে।

 

নতুন করহার অনুযায়ী বর্তমানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এলাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের ওপর উৎসে কর ৪ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।  

সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ের পৌরসভার অন্য এলাকায় এ হার ৩ থেকে বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের পৌরসভায় ৪ শতাংশ এবং অন্য এলাকা ১ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ উৎসে করা নেওয়া হচ্ছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে নতুন করহার নির্ধারণের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। চলতি ১৭ জুলাই ‘উৎসে কর বিধিমালা, ২০২৩’ এর সংশোধনের গেজেট প্রকাশ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।  

বাণিজ্যিক এলাকায় করহার

সংশোধিত উৎসে কর বিধিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকার গুলশান, বনানী, মতিঝিল, দিলকুশা, নর্থ-সাউথ রোড, মতিঝিল সম্প্রসারিত এলাকা ও মহাখালী এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ২০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, সেই হারে কর দিতে হবে।

ঢাকার কারওয়ান বাজারের ক্ষেত্রে করহার দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১২ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে দিতে হবে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ও সিডিএ এভিনিউয়ে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৮ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেটি কর হিসেবে গণ্য হবে।

ঢাকার নবাবপুর ও ফুলবাড়িয়া এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৬ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, কর হিসেবে সেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে এবং ঢাকার উত্তরা, সোনারগাঁও জনপথ, শাহবাগ, পান্থপথ, বাংলামোটর ও কাকরাইল এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১২ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে দিতে হবে।

এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, পোস্তগোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৮ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে দিতে হবে।

আবাসিক এলাকায় করহার

বাণিজ্যিক এলাকার বাইরে ঢাকার আবাসিকের মধ্যে উত্তরা (সেক্টর ১-৯), খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফিট রাস্তার পাশে), আজিমপুর, রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (বিশ্বরোডের পাশে) এবং চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, হালিশহর, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ, মেহেদিবাগ এলাকার ক্ষেত্রে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি তিন লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

ঢাকার গুলশান, বনানী, বনানী ডিওএইচএস, ধানমন্ডি, বারিধারা ডিওএইচএস, মহাখালী ডিওএইচএস, বসুন্ধরা (ব্লক এ-জে), নিকেতন, বারিধারা এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১০ লাখ টাকার মধ্যে যেটি যেটি বেশি, তা কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

ঢাকার রাজউক পূর্বাচল আবাসিক মডেল টাউন, বসুন্ধরা (ব্লক কে-পি) ও ঝিলমিল আবাসিক এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৩ লাখ টাকার মধ্যে যেটি সর্বোচ্চ, তা কর হিসেবে ধরা হবে।

ঢাকার কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিনরোড, এলিফ্যান্ট রোড, ফকিরাপুল, আরামবাগ, মগবাজার (মূল রাস্তার ১০০ ফিটের মধ্যে) তেজগাঁও শিল্প এলাকা, শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকা, আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, লালমাটিয়া, ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠা প্রতি পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে দিতে হবে।

ঢাকার কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, বিজয়নগর, ইস্কাটন, গ্রিনরোড, এলিফ্যান্ট রোড (মূল রাস্তার ১০০ ফিটের বাইরে) এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি আড়াই লাখ টাকার মধ্যে যেটি বড় তা কর হিসেবে ধার্য হবে।

গ্রিনরোড (ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার রোড নম্বর ৩ থেকে রোড নম্বর ৮ পর্যন্ত) এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ৫ লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

ঢাকার উত্তরা (সেক্টর ১০ থেকে ১৪), নিকুঞ্জ (দক্ষিণ), নিকুঞ্জ (উত্তর), বাড্ডা পুনর্বাসন এলাকা, গেন্ডারিয়া পুনর্বাসন এলাকা, শ্যামপুর পুনর্বাসন এলাকা, আইজি বাগান পুনর্বাসন এলাকা ও টঙ্গী শিল্প এলাকায় দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে বিবেচিত হবে।

ঢাকার শ্যামপুর শিল্প এলাকা, পোস্তগোলা শিল্প এলাকা, জুরাইন শিল্প এলাকায় কর হবে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি এক লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, তা কর হিসেবে ধরা হবে।

ঢাকার খিলগাঁও পুনর্বাসন এলাকা (১০০ ফিটের কম প্রশস্ত রাস্তার পাশে), রাজারবাগ পুনর্বাসন এলাকা (৪০ ফিট ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে) দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠাপ্রতি দেড় লাখ টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেটি কর হিসেবে দিতে হবে।

ঢাকার গোড়ান (৪০ ফিট রাস্তার পাশে) হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় জমি কেনায় উৎসে কর হবে দলিল মূল্যের ৮ শতাংশ বা কাঠা প্রতি ৬০ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সেটি।

উপরে উল্লিখিত এলাকাগুলো বাদে রাজউক ও চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (সিডিএ) অন্যান্য এলাকায় জমি বেচাকেনা হলে চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ; গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা (রাজউক ও সিডিএ এলাকা ছাড়া) এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও জেলা সদর পৌর এলাকায় চুক্তিমূল্যের ৬ শতাংশ কর দিতে হবে। অন্যান্য পৌরসভা এলাকায় চুক্তিমূল্যের ৪ শতাংশ এবং দেশের অন্য এলাকায় চুক্তিমূল্যের ২ শতাংশ কর দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।